আমাদের সিলেট ডটকম:
মদনমোহন কলেজে ভর্তি বাণিজ্য করে ৭০ লাখ টাকা আত্নসাতকারী ‘বদমাশ’ ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টরা যে দলেরই হোক, তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী মদনমোহন কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে আইন-শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এ নির্দেশ দেন।
অর্থমন্ত্রী শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে ছাত্রলীগের স্থগিত রাখা কলেজ কমিটির সভাপতি অরুণ দেবনাথের নেতৃত্বে ভাঙচুর করা কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ বিভিন্ন কৰ পরিদর্শন করেন।
এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, উপাধ্যক্ষ সর্বানী অর্জ্জুন, কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলামসহ পুলিশের পদস’ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে অপরাজনীতির এটি একটি রিয়েল পিকচার। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। পুলিশ দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। তারা যে দলেরই হোক না কেন, পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কলেজ পরিদর্শনকালে অর্থমন্ত্রীকে মদনমোহন কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে গত ২৬ জানুয়ারির ঘটনায় মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার, অনাদায়ী বেতন আদায়ের ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, নিয়মিত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর শাখা কমিটি গঠন, অছাত্রদের ক্যাম্পাসে আসা বন্ধ করা এবং কলেজের ইতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও নাগরিক সমাজের সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য,স্থানীয় সংসদ সদস্য হিসেবে অর্থমন্ত্রী মদনমোহন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতাদের একটি চক্র কলেজে ভর্তি বাণিজ্য করে কয়েক লাখ টাকা লোপাট করে। গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে অর্থমন্ত্রী লুটপাটের এ তথ্য প্রকাশ করে ভর্তির টাকা লুটপাটকারী ছাত্রনেতাদের ‘বদমাশ’ বলে ভর্ৎসনা করেছিলেন।
ভর্তি বাণিজ্য বন্ধে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশে এবারই প্রথম কলেজে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তির ৰেত্রে মুঠোফোনের খুদে বার্তা পদ্ধতি চালু করা হয়। এতে কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭৪ বছর পর এবারই প্রথম ভর্তির পুরো টাকা আদায় হয়েছে। অর্থমন্ত্রী এ বিষয়টি জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন বলে কলেজ অধ্যক্ষ জানান।
মদনমোহন কলেজের ‘বদমাশ’ ছাত্রনেতাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন অর্থমন্ত্রী
Friday, February 14, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment