উপজেলা নির্বাচনে প্রথম দফার মত দ্বিতীয় দফাতেও জামায়াত তাদের সাফল্য ধরে রেখেছে।সরকারি চাপে কোণঠাসা জামায়াতে ইসলামীর চমক চলছেই।
এবার দ্বিতীয় দফায় উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকেও ছাড়িয়ে গেছে।এবার পুরুষ পদে জামায়াতের ৩০ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ২৮টি করে উপজেলায় জয় পেয়েছে। আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র দুটিতে।
এর আগে প্রথম দফায় ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে জামায়াতের ২৩ জন জয়ী হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ২৪ এবং বিএনপি জয় পেয়েছিল ৩২টি স্থানে।
জামায়াতের নেতারা হয় যুদ্ধাপরাধ মামলায় দণ্ডিত নতুবা চার দেয়ালের মাঝে বন্দি। গত ৫ বছর যাবৎ রাষ্ট্রশক্তি প্রতি মুহূর্তে দলটির নেতাকর্মীদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। দল হিসেবেও জামায়াত এখন কার্যত নিষিদ্ধ।এ অবস্থায় এককভাবে নির্বাচন করে জামায়াতের প্রার্থীরা জিততে পারবে তা হয়তো অনেকে বিশ্বাস করতে চাননি। কেউ একটু বেশি উদারপন্থি হলে বড়জোর বিচ্ছিন্ন দু-একটি জায়গায় তাদের জয়ের সম্ভাবনা দেখছিলেন।
প্রথম দফায় ১৩টি উপজেলা চেয়ারম্যানের পর দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেল বিচ্ছিন্ন দু-একটি জয় নয়, জামায়াত ৮টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মত দেশের দুটো বড় দলের সঙ্গে লড়াই করেই দলটি এ জয় পেয়েছে।
জামায়াতের এই জয় অন্য একটি দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে বেশিরভাগ উপজেলাতেই জামায়াতের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিল না।
জামায়াত দ্বিতীয় ধাপে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের শরিক বিএনপিকেও ছাড়িয়ে গেছে। এবার পুরুষ পদে তাদের ৩০ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা ২৮টি করে উপজেলায় জয় পেয়েছে। আর জাতীয় পার্টি পেয়েছে মাত্র দুটিতে। অন্যান্য ৫ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে প্রথম দফায় ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে জামায়াতের ২৩ জন জয়ী হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ ২৪ এবং বিএনপি জয় পেয়েছিল ৩২টি স্থানে।
জামায়াতে ইসলামকে অনেকে ‘নারীবিদ্বেষী’ বা মৌলবাদী বললেও দ্বিতীয় ধাপেও অন্তত ৯টিতে নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলটির প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ৪৪, আওয়ামী লীগ ২৬, জাতীয় পার্টি ২ এবং অন্যরা ৪টিতে জয়ী হয়েছে।
প্রথম দফায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত জিতেছিল ১০টি উপজেলায়। এক্ষেত্রে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ জিতেছিল ৩৪টি করে উপজেলায়।
তবে নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত পতন ঘটেছে এরশাদের জাতীয় পার্টির। একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী দলের আসনে বসালেও কার্যত জাতীয় পার্টি এখন রাজনীতিতে যে ‘ডেড হর্স’ -তা দ্বিতীয় দফাতেও প্রমাণিত হয়েছে।চরম অস্তিত্বের সংকটে পড়তে চলেছে বর্তমান সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মাদ এরশাদ এবং তার সহধর্মিনী বেগম রওশন।একটি মাত্র উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে জয় নিয়েই দলটিকে অনিশ্চিত গন্তব্যে যাত্রা শুরু করতে হবে। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন করে নারী-পুরুষসহ ৪টি জয় পেয়েছে ঝড়ের গতির মতই দ্রুত দিক পরিবর্তনকারী এই দলটি।
No comments:
Post a Comment