আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেটের সকল বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনে মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯ মোতাবেক যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতায় আসবে না তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় সিটি কর্পোরেশনের সভা কক্ষে আয়োজিত সিলেট সিটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কোচিং সেন্টারের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠককালে মেয়র এ তথ্য জানান।
এসময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটের শিক্ষাবিদদের নিয়ে শীঘ্রই একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। মনিটরিং সেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে শিক্ষার মান, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সংখ্যা, কোন প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হচ্ছে কীনা, কর্মরত শিক্ষকদের যোগ্যতা-এসব যাবতীয় বিষয় যাচাই করবে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) ও সচিব মমতাজ বেগমের সঞ্চালনায় বৈঠকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব সমস্যা বিরাজমান আছে সেইসব সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
বৈঠকে সিলেট সিটির বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দেড় শতাধিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। প্রতিবছর অযৌক্তিক হারে ভবন মালিকের ভাড়া বৃদ্ধি, মাধ্যমিক শ্রেনীর বই পেতে দীর্ঘসুত্রিতার সমস্যার কথা তুলে ধরে এসব সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তারা মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন।
নেটওয়ার্ক অপারেটর এসোসিয়েশন অব সিলেট নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক : এদিকে বুধবার বেলা ১১টায় সিলেটের ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের সংস্থা নেটওয়ার্ক অপারেটর এসোসিয়েশন অব সিলেট নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
বৈঠক কালে তিনি নেটওয়ার্ক অপারেটর এসোসিয়েশন অব সিলেট এর আওতায় সকল প্রতিষ্ঠানকে সিটি কর্পোরেশনের নিবন্ধনের আওতায় আসার আহবান জানান।
বৈঠকে সুরমা মার্কেট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নির্মান বিষয়ে নেটওয়ার্ক অপারেটর এসোসিয়েশন অব সিলেট এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। বৈদ্যুতিক খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার পর ইন্টারনেট সেবা প্রদান করার বিকল্প বিকল্প কৌশল নির্ধারনের জন্য সিটি কর্পোরেশন, বিদ্যুত বিভাগ, টিএন্ডটিকে নিয়ে সমন্বয়ের মাধ্যমে একটি উপায় বের করার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) ও সচিব মমতাজ বেগমের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন সলবিডির প্রতিনিধি শাহ আহমেদ রকিব লিটু, সিলনেট আইটির প্রতিনিধি ইকরামুল জলিল, ব্র্রাক নেটের প্রতিনিধি শরীফুল আজাদ চৌধুরী, মেনর আইটির দেবাশীষ দেবুসহ আরও অনেকে।
No comments:
Post a Comment