যুক্তরাজ্য থেকে সংবাদদাতা:
বৃটেনের পোর্টসমাউথে এক জামে মসজিদের ইমামের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ৩১ হাজার পাউন্ড হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মসজিদে ইমামতির সুযোগে মৌলানা আমিনুর রহমান বিভিন্ন সময়ে নিজের বিভিন্ন সমস্যার কথা উলেখ করে ছলচাতুরির মাধ্যমে মসজিদ কমিটি ও মুসলিদের কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেননি। উপরন্তু পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে চারজন পাওনাদারকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন। পরে অবশ্য ইমাম আমিনুর রহমান পুলিশের কাছে তার প্রতারণা ও ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পোর্টসমাউথ জামে মসজিদ কমিটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পোর্টসমাউথ জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল জলিল। উপস্থিত ছিলেন বাহার উদ্দিন, মো. আয়াজ আলী, মো. মজির উদ্দিন, সমুজ আলী, আজিজুর রহমান, ইকবাল মিয়া, ফয়জুর রহমান, মুজিব খান, সৈয়দ আমিনুল হক, শেখ হরমুজ আলী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আবুল কাহের, মোজাহিদ হোসেন, সেলিম, খালেদ মিয়া, আবিদুর রহমান চৌধুরী, সালিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, শামীম উদ্দিন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, মৌলানা আমিনুর রহমানকে ২০১০ সালের ১লা ডিসেম্বর পোর্টসমাউথ জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। মিষ্টভাষী ইমাম মৌলানা আমিনুর রহমান মসজিদে ইমামতির সুযোগে সরলপ্রাণ মুসলিদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে সুযোগ বুঝে কখনও তার মায়ের চিকিৎসা, কখনও পারিবারিক বিপদ, কখনও তার কলেজের ফি পরিশোধের কথা বলে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসলিদের কাছ থেকে গোপনে টাকা ধার নেয়া শুরু করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একসময় মোটা অঙ্কের পাওনাদার মসজিদের মুসলি ইকবাল মিয়া মসজিদের ইমামকে তার পাওনা অর্থ ফেরত দেয়ার অনুরোধ করলে তিনি নির্ধারিত তারিখে টাকা ফেরত না দিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে ইকবাল মিয়া বিষয়টি গত বছরের জুন মাসে মসজিদ কমিটির কাছে উপস্থাপন করলে ইমামের প্রতারণার কাহিনী বেরিয়ে আসতে থাকে। পরে প্রতারণামূলক আচরণ ও মিথ্যাচারের কারণে মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসলিদের সম্মতিক্রমে আমিনুরকে ইমামতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিপুল সংখ্যক পাওনাদারদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গত বছরের ৪ঠা ডিসেম্বর মৌলানা আমিনুর রহমানের জবানবন্দি গ্রহণ করে। পুলিশ স্টেশনে দেয়া জবানবন্দিতে মৌলানা আমিনুর মসজিদ কমিটির সদস্য ও মুসলিদের কাছ থেকে ৩১ হাজার ১৫০ পাউন্ড ধার হিসেবে নিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মৌলনা আমিনুর রহমান পোর্টসমাউথের ইকবাল মিয়ার রেস্টুরেন্টে অবৈধ ইমিগ্রান্ট আছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করলে পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করে অযথা হয়রানি করে। এ ছাড়া আমিনুর পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যে চারজন পাওনাদারকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন তদন্তে আমিনুরের অভিযোগ ভুয়া ও মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ তাদের ওপর থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে। উলেখ্য, মোশাহিদ আলীর পুত্র মৌলানা আমিনুরের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার রসুলগঞ্জের লোহারগাঁও গ্রামে।
প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বৃটেনে এক মসজিদের ইমাম হাওয়া
Monday, February 3, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment