কাদের মোল্লার মৃত্যুদন্ড কার্যকর সংক্রান্ত বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে পাকিস্তানের ন্যাশনাল এসেম্বলীতে নিন্দা ও শোক প্রস্তাব পাশ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ এক যুক্ত বিবৃতিতে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ নিরীহ মানুষ ও নারী-শিশুর ওপর ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আল-শামস গণহত্যা ও নির্যাতন চালায়। পাক বাহিনীর গণহত্যার দোসর এসব বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের নেতাকর্মী। তারা গণহত্যায় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহন করে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ, শহীদ পরিবার ও নতুন প্রজন্ম দীর্ঘদিন থেকে একাত্তরের এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবী জানিয়ে আসছে। একাত্তরে কসাই কাদের মিরপুরে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল। কাদের মোল্লার মানবতাবিরোধী অপরাধ মাফ করা কিংবা ভুলে যাওয়ার মতো ঘটনা নয়। উচ্চ আদালতের যথাযথ বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সাজা কার্যকর হয়েছে। পর্যবেক্ষক রাখা, আসামীর আত্মপক্ষ সমর্থন, জামিন ও প্যারোলে মুক্তির ব্যবস্থা এবং বিচারের নথি উন্মুক্ত ছিল। তাই আইনানুগভাবে তার বিচার ও সাজা কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধাপরীদের বিচার বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে এধরণের প্রস্তাব পাশ করা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের সামিল।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক কাদের মোল্লাকে ‘অভিন্ন পাকিস্তানের একান্ত সমর্থক’ উল্লেখ এবং পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলীতে উত্থাপিত শোক ও নিন্দা প্রস্তাবে ‘পাকিস্তান আর্মিকে মুক্তিযুদ্ধের সময় সহায়তা করতে কাদের মোল্লার ভূমিকার প্রশংসা’র মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায় একাত্তরে এই কাদের মোল্লাদের ভূমিকা কি ছিল। একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীর একান্ত দোসর হিসেবে কাদের মোল্লারা নারী-শিশুসহ মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের ওপর গণহত্যা ও অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়েছিল।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পাকিস্তান পার্লামেন্ট ও সরকারের কর্তা-ব্যক্তিদের বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয় নিয়ে করা তাদের ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য ও প্রস্তাবনা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিবেন। অন্যথায় পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও মানুষের কোন ধরণের সম্পর্ক ভবিষ্যতে থাকবে কিনা তা জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে এবং সকল ধৃষ্টতা ও ঔদ্ধত্যের জবাব একাত্তরের মতো দিতে জাতি প্রস্তুত আছে।
এদিকে পাকিস্তানের ঔদ্ধত্য ও ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে আজ সকাল ১১টায় কোর্ট পয়েন্ট থেকে সিলেট জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে পাকিস্তানের অবস্থানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সিলেট আ’লীগ
Wednesday, December 18, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment