বুধবার দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলো রফিকুল ইসলাম ওরফে শাকিল, মাহফুজুর রহমান ওরফে নাহিদ, ইমদাদুল হক ওরফে ইমদাদ, জি এম রাশিদুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল, কাইউম মিয়া, রাজন তালুকদার এবং মীর মোহাম্মদ নূরে আলম ওরফে লীমন। এর মধ্যে শোষোক্ত দু’জন অর্থাৎ রাজন ও লীমন পরাতক। বাকি আসামিরা কারাগারে আছে।
রায় ঘোষণার সময় নিহত বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম চন্দ্র দাস আদালতে ছিলেন। রায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এখন দ্রুত রায় কার্যকর হোক, সেটাই আমাদের চাওয়া। তিনি জানান, তার বাবা অনন্ত চন্দ্র দাস গ্রামের বাড়িতে আছেন। মুঠোফোনে রায় বাড়িতে জানো হয়েছে। তারাও এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই আদালত ও তার আশপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
কারাগারে আটক ৮ আসামিকে বেলা সোয়া ১২টা ২০ মিনেটের দিকে আদালতে আনা হয়। ১২ টা ২৫ মিনিটে আদালত এ মামলার কার্যক্রম শুরু করেন।
এরআগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক রায়ের জন্য আজকের এই দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৫ মার্চ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।
আসামিদের মধ্যে তালুকদার, ইউনুস আলী, আজিজুল হক, তারেক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, মীর মো. নূরে আলম, আল আমিন শেখ, মনিরুল হক, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন পলাতক রয়েছে।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বিশ্বজিতের বাবাসহ ৩২ জনকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করে।
উভয় পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রাষ্ট্রপক্ষ গত ২৭ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।
No comments:
Post a Comment