শরীফপুর সীমান্তে নিহত ২ বাংলাদেশীর ছবি পাঠালেও বিএসএফ লাশ ফেরত দেয়নি
জালাল আহমদ, বড়লেখা : ভারতীয় গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে নিহত দুই বাংলাদেশী নাগরিকের লাশ ৫ দিনেও বিএসএফ ফেরত দেয়নি।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর সীমান্তে ওই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বিজিবির চিঠির জবাবে নিহত দুই বাংলাদেশীর ছবি পাঠায় বিএসএফ; কিন্তু ক্ষতবিক্ষত ও গলিত লাশের ছবি দেখে স্বজনরা লাশ শনাক্ত করতে পারেননি। কথা ছিল, স্বজনরা শনাক্ত করতে পারলে ১৫ ডিসেম্বর লাশ ফেরত দেয়া হবে।
পরে নিহতদের পকেট থেকে জব্দকৃত মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের মাধ্যমে লাশ শনাক্ত করার জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে জানানো হয়।
এর আগে ১৪ ডিসেম্বর বিএসএফ ও বিজিবি ঘটনাটি গুজব বলে উড়িয়ে দিলেও নিখোঁজ দুই বাংলাদেশীর সন্ধানে সহযোগিতা চেয়ে পরদিন সকালেই বিজিবি আনুষ্ঠানিকভাবে লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফকে চিঠি দেয়।
গণপিটুনিতে নিহত মাজিদ আলী শরীফপুর সীমান্তের সঞ্জরপুর গ্রামের বেরীরপার এলাকার ইয়াকুব মিয়ার ছেলে এবং নজর আলী একই গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, বিজিবির এক সুবেদার তাদের বাড়িতে গিয়ে নাম-ঠিকানা জেনে নিশ্চিত করেন, মাজেদ আলী ও নজর আলী ভারতের অভ্যন্তরে নিহত হয়েছে।
তারা আরো জানান, ১২ ডিসেম্বর বিকেলে মনু নদী অতিক্রম করে জিরো পয়েন্টে অর্থাৎ ভারতের সমরুরপাড় সীমান্ত এলাকায় গরু চরাতে যাওয়ার পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। সন্ধ্যায় গরু বাড়ি ফিরে এলেও তারা ফিরে আসেনি। তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে সমরুরপাড় গ্রামে বসবাসকারী তাদের আত্মীয়রা জানান, ভারতীয় লোকজন লাঠিপেটা করে ও দা দিয়ে কুপিয়ে তাদের গুরুতর আহত করলে কৈলাসর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
No comments:
Post a Comment