আমাদের সিলেট ডটকম:
কানাইঘাট থানা হাজতে মাদ্রাসা ছাত্র নির্যাতন এবং তিন দিনেরও বেশী সময় বেআইনী ভাবে আটকে রেখে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে কথিত যুবলীগ সমর্থক নজরুল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগে নির্যাতিত ছাত্র সালেহ আহমদের মা আমিনা বেগম বাদী হয়ে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব হাসান মুহাম্মদ আরিফুর রহমান এর আদালতে গত ৩০/১২/২০১৩ ইং তারিখে পুলিশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের ৩৪২/৩৪৮/৩২৩/১০৯ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নাম্বার-কানাইঘাট দরখাস্ত ২০৮/২০১৩।
মামলায় কানাইঘাট থানার ওসি মোঃ আব্দুল আউয়াল চৌধুরী, পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) মোঃ বজলার রহমান, এসআই বশির আহমদ ও এএসআই মুস্তফা সহ আরো ৬/৭ জন কনস্টেবলকে আসামী করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিলেটের পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, গত ১৪/১২/২০১৩ ইং তারিখে দিবাগত রাত ৩টায় ঘুমন্ত অবস্থায় কানাইঘাট নন্দিরাই গ্রামের নিজ বসতঘর থেকে কানাইঘাট মনসুরিয়া কামিল মাদ্রাসার আলিম শ্রেণীর ছাত্র সালেহ আহমদকে পুলিশ গ্রেফতার করে।এরপর পুলিশ তাকে কোর্টে চালান না দিয়ে ১৮/১২/২০১৩ ইং ভোর ছয়টা পর্যন্ত থানা হাজতে বেআইনী ভাবে আটকে রেখে নির্মম ভাবে নির্যাতন করে। এসময় তার মা আমিনা বেগম ও তার আত্মীয়-স্বজন বারবার থানায় গেলেও পুলিশ তার সাথে কাউকে দেখা করতে দেয়নি। থানা হাজতে থাকাকালীন অন্যান্য হাজতী থেকে আলাদা করে তাকে নির্জন একটি কৰে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে নজরুল হত্যাকাণ্ডে পুলিশের শেখানো মতে স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য পুলিশ নানা ভাবে তার উপর চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে সে প্রাণ রক্ষার্থে স্বীকারোক্তি দিলে গ্রেফতারের প্রায় ৮০ঘন্টা পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আরজিতে আরো উল্লেখ করা হয় পুলিশ কর্তৃক অবৈধ ভাবে আটকে রেখে থানা হাজতে নির্যাতন ও জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় এবং গ্রেফতারের ৮০ঘন্টার পরে আদালতে প্রেরণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড দন্ডবিধি আইনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মামলায় দৈনিক সিলেটের ডাক ও দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকার কানাইঘাট উপজেলা সংবাদদাতা সহ মোট ১১জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment