আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেট নগরী কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রয়েছে। নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে বিজিবি সদস্যরা। নগরীর হুমায়ুন রশিদ চত্বরে বাঙ্কার স্থাপন করে অবস্থান নিয়েছে সেনা সদস্যরা।
কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেনি সিলেট জেলা ও মহানগর ১৮ দল। তবে, দক্ষিণ সুরমা ১৮ দল ও সদর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর ১৮ দলের সদস্য সচিব হাফিজ আব্দুল হাই হারুণ।
এদিকে, গত ৩ দিনের মত আজো সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি। একই ভাবে, সিডিউল বিপর্যয়ের অজুহাতে আজও সিলেট রেল স্টেশন থেকে কোন ট্রেন ছেড়ে যায়নি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ গত রোববার রাতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন, আজ সোমবার সারা দেশের ১৮ দলের উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। সে অনুযায়ী আজ সারা দেশে এই কর্মসূচি পালিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সিলেট জেলা ও মহানগর ১৮ দলের উদ্যোগে আজ সিলেট নগরীর রাজপথে নামেননি ১৮ দলের নেতাকর্মীরা।
সিলেট মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি নাসিম হোসাইনের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জেলা ও মহানগর ১৮ দলের সিনিয়র নেতাদের প্রায় সকলেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। কর্মী বাহিনীর একটি বিশাল অংশও ঢাকায় অবস্থান করছে। ফলে, সিলেটে আজকের এই পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করা যায়নি।
জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল বলেন, আমরা ঢাকায় অবস্থান করছি। ‘মার্চ ফর ডেমক্রেসি’ তে যোগ দিতে ঢাকায় আসলেও হোটেলে বা আত্মীয় স্বজনের বাসায় দিন কাটাতে হচ্ছে বেশীর ভাগ নেতাকর্মীকে। সিলেটে আমাদের কর্মীদের একটি বড় অংশ অবস্থান করছেন। তারা পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে সিলেটে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বলে দাবী করেন আব্দুল আহাদ খান জামাল।
এদিকে, সিলেট মহানগর ১৮ দলের সদস্য সচিব হাফিজ আব্দুল হাই হারুণের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিলেটে ১৮ দলের কর্মসূচি পালন করা হয়নি সেটি ঠিক নয়। বিচ্ছিন্ন ভাবে সকালে দক্ষিণ সুরমায় ও শহরতলীর টুকের বাজারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় দক্ষিণ সুরমার বঙ্গবীর রোডে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে দক্ষিণ সুরমা ১৮ দল। দক্ষিণ সুরমা শাখা ১৮ দলীয় জোটের আহবায়ক তাজরুল ইসলাম তাজুল, সদস্য সচিব রেহান আহমদ হারিছ, জামায়াত নেতা মুজিবুর রহমানসহ অন্যরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন। এছাড়া, সিলেট শহরতলীর টুকেরবাজার এলাকায় সদর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে একই সময়ে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় জামায়াতের উত্তর জেলা আমীর হাফিজ মাওলানা আনোয়ার হোসেন খান, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইসলাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমদ চেয়ারম্যানসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, এডভোকেট সামছুজ্জামান জামানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি’র একাংশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে এবং রাজপথে অবস্থান কর্মসূচীর সমর্থনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল সোমবার দক্ষিন সুরমার কীন ব্রীজ মোড়ে অবস্থান নেয়। দফায় দফায় পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে ক্রীন ব্রীজের মোড়ে দলীয় নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে তারা একটি মিছিল সহকারে ক্রীন ব্রীজ থেকে শুরু করে সুরমা পয়েন্টে এসে এক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির হুসেনের সভাপতিত্বে ও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মওদুদুল হক চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মতিউল বারী চৌধুরী খুর্শেদ। সভায় অন্যান্যের মদ্যে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা হায়দার আহমদ, শানুর, জাবেদ আহমদ, মল্লীক আহমদ, আক্তার আহমদ, দেওয়ান নিজাম খান, নূর ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন রুমন, মেহেদী হাসান নিজাম, ছাত্রদল নেতা বদরুল আজাদ রানা, আবুল বাশার, নেপুর আহমদ, জাহাঙ্গীর আহমদ, আবু তাহের শিশু, শাহ সাদিকুর রহমান, সুয়েবুর রহমনা খোকন, সুমন আহমদ, রুমেল আহমদ, আমিনুল ইসলাম, ভূলন কান্তি তালুকদার প্রমুখ।
কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে সিলেট নগরী
Monday, December 30, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment