বানিয়াচংয়ে নির্বাচনী প্রচারকালে ছাত্রদল-যুবদলের হামলা ॥ প্রার্থীসহ আহত ৭ ॥ মাইক-রিক্সা ভাংচুর
ইমদাদুল হোসেন খান, বানিয়াচং : জাতীয় সংসদের হবিগঞ্জ-২ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারকাজ ও জনসভায় ছাত্রদল ও যুবদল নেতাকর্মীদের হামলায় এক প্রার্থীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রচারকাজে ব্যবহৃত মাইক ও রিক্সা ভাংচুর করা হয়েছে।
রবিবার ২৯ ডিসেম্বর হামলা হয় জাতীয় পার্টি প্রার্থী শংকর পালের জন্যে 'লাঙ্গল' মার্কায় ভোট চেয়ে মাইকিংকালে। এ হামলায় প্রচারকর্মী উপজেলা যুব সংহতির নেতা মাহমুদ মিয়া ও রিক্সাচালক মঙ্গল উল্লা আহত হয়েছেন। এছাড়া মাইক, ব্যাটারি ও রিক্সা ভাংচুর হয়।
বানিয়াচং থানায় করা লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যায় বানিয়াচং উপজেলা সদরে ডা. ইলিয়াছ একাডেমির পূর্বের রাস্তায় ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী এ হামলা চালায়।
মাহমুদ মিয়া জানান, ডা. ইলিয়াছ একাডেমি ও ব্র্যাক অফিসের মধ্যস্থলে রাস্তার মোড়ে ত্রিকর মহল্লা গ্রামের আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে বিএনপি কর্মী শাহীন মিয়ার দোকান থেকে জনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের নেতা ইলিয়াছ, খালেদ, মজনু, জাকির ও সাইফুল লাঠিসোটা নিয়ে এসে অতর্কিতে হামলা চালায়।
পরে পথচারীরা আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়ার পর তারা চিকিৎসা নেন।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আফসার আহমেদ রূপকের জন্যে 'আনারস' মার্কায় ভোট চেয়ে মাইকিংকালে গ্যানিংগঞ্জ বাজারস্থ কেবি ওয়াকফ এস্টেটের সামনের সড়কে জনাব আলী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতা খালেদ ও মজনু হামলা চালিয়ে মাইক ও রিক্সা ভাংচুরসহ প্রচারকর্মী আজিজুর রহমান ও রিক্সাচালক আব্দুল আহাদকে মারধোর করে আহত করেছিল।
এছাড়া ২১ ডিসেম্বর বিকালে আদর্শ বাজারে আফসার আহমেদ রূপকের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা চলাকালে বানিয়াচং উপজেলা যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মিলন খান, উপজেলা যুবদলের সদস্য এসএম রেজাউল, বানিয়াচং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম আনহার ও ছাত্রদল কর্মী এসএম জহিরুলসহ ১০/১২ জন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে জনসভাটি পণ্ড করে দেয়।
ওই ঘটনায় প্রার্থী আফসার আহমেদ রূপকসহ অন্ততঃ ৫ জন আহত হয়েছিলেন।
No comments:
Post a Comment