আমাদের সিলেট ডটকম:
বাহুবলে চালককে খুন করে সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ আসামী স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৭ জনের মধ্যে ৩ জন গত শুক্রবার হবিগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
আসামীগণ হচ্ছে মৌলভীবাজার জেলার উত্তর মধ্যহাটি গ্রামের অয়েজ মিয়া (২২), বড়ইউড়ি গ্রামের জুয়েল আহমদ (২৪) ও দুঘর গ্রামের ফিরোজ মিয়া (২২)। স্বীকারোক্তি প্রদান কালে আসামীরা অপরাধ স্বীকার করে জানায়, গত ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় শায়েস-াগঞ্জ থেকে শ্রীমঙ্গল যাবার কথা বলে সুবির, জুয়েল ও ফিরোজ অটোরিক্সাটি ভাড়া করে। পথে কামাইছড়া বাসস্ট্যান্ডের নিকটে দারাগাও চা বাগানের ২নং সেকশন এলাকায় পৌছে যাত্রী বেশী সুবির তার মাথার ক্যাপ রাস-ায় ফেলে দেয়। এ সময় সুবির অটোরিক্সাটি থামানোর জন্য চালককে অনুরোধ করলে, চালক সিরাজ অটোরিক্সাটি থামিয়ে ক্যাপটি কুড়িয়ে আনে। ক্যাপ নিয়ে গাড়িতে উঠে বসার সাথে সাথে পিছন থেকে সুবির দাস ধারালো চাকু দিয়ে চালক সিরাজ আলীকে উপুর্যপরি আঘাত করতে থাকে। এ সময় জুয়েল ও ফিরোজ তাকে ঝাপটে ধরে রাখে। এক পর্যায়ে আসামীরা ওজন মাপার লোহার বাটখারা দিয়ে চালক সিরাজ আলীর মাথায় আঘাত করলে সে মারা যায়। তার বাড়ী হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার কুনাবাড়ী গ্রামে। পরে ঘাতকরা মৃত দেহ রাস-ার পাশে ফেলে রেখে সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়। বাহুবল থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজারে সিএনজি অটোরিক্সাটি গোপনে বিক্রির সময় ছিনতাইকারী চক্রের ৭ সদস্য ধরা পড়লেও মূল ঘাতক সুবির দাস কৌশলে পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে। মামলায় আটককৃত অপর ৪ আসামী মৌলভীবাজার জেলার দুঘর গ্রামের শাহজাহান (২২) এবং হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার লামরু গ্রামের আব্দুল মতিন (২৭), সুহেল (২৭) ও আব্দুল কালাম (৩২) কে রিমান্ডে নেয়ার জন্য বাহুবল থানা পুলিশ কোর্টে আবেদন করেছে।
বাহুবলে চালককে খুন করে সিএনজি অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ আসামীর স্বীকারোক্তি
Saturday, January 18, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment