আমারদেশ: পুলিশ গতরাতে দৈনিক ইনকিলাব অফিস ঘেরাও করে পত্রিকার বার্তা সম্পাদক, সিনিয়র রিপোর্টারসহ চার সংবাদকর্মীকে গ্রেফতার, ছাপাখানা ও সার্ভার রুম সিলগালা এবং ৭টি কম্পিউটার জব্দ করেছে। পত্রিকার সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, আজকের দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা প্রকাশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি সংবাদের সূত্র ধরে করা মামলায় পুলিশ এই অভিযান চালায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওয়ারী থানা পুলিশের একটি দল ওই কার্যালয়ে যায়। তাদের সঙ্গে ডিবি পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও ছিলেন। তারা ইনকিলাব কার্যালয় ঘেরাও করে পত্রিকা অফিসে ঢুকে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় এবং তাদের কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। তারা সংবাদকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ব্যাপক তল্লাশি চালানোর সময় পুলিশ ওই কার্যালয়ে কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেয়নি। রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পত্রিকা প্রকাশের কাজ বন্ধ ছিল।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের ডিসি মাসুদুর রহমান জানান, ‘সাতক্ষীরায় যৌথবাহিনীর অপারেশনে ভারতীয় বাহিনীর সহায়তা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য ওই পত্রিকার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পত্রিকার সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীনসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ওয়ারী থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) এ মামলা হয়। এ ঘটনায় গতরাতে পত্রিকাটির অফিস আর কে মিশন রোডের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে বার্তা সম্পাদকসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন পত্রিকারটি বার্তা সম্পাদক রবিউল্লাহ রবি, চিফ রিপোর্টার রফিক মোহাম্মদ, ক্রাইম রিপোর্টার আতিকুর রহমান আতিক এবং সম্পাদকের বিশেষ সহকারী আবদুস শহিদ। ইনকিলাব সম্পাদক বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। পুলিশ রাত ১১টায় গ্রেফতারকৃত তিনজন সিনিয়র সাংবাদিক ও এক সংবাদকর্মীকে ডিবি অফিসে নিয়ে গেছে। তারা ৭টি কম্পিউটারও জব্দ করে নিয়ে যায়। একই সঙ্গে পুলিশ পত্রিকা ভবনের নিচতলায় ছাপাখানা সিলগালা করে দেয়। উপরের সার্ভার রুমও সিলগালা করে। ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা সাখাওয়াত হোসেন বাদশা জানান, তল্লাশির সময় পুলিশ ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে গিয়ে অবস্থান নিয়ে কম্পিউটার পরীক্ষা করে। এ সময় তারা সংবাদকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।
উল্লেখ্য, দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত রিপোর্ট সম্পর্কে ইতোমধ্যে ডিবি পুলিশ বলেছে, এটি একটি ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই এ রিপোর্টটি করা হয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে ‘বাংলাদেশে ভারতীয় বাহনীর উপস্থিতি’ সংক্রান্ত যেসব তথ্য প্রচার করা হচ্ছে সেগুলো সম্পূর্ণ অসত্য ও বানোয়াট। এতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মধ্যে কিছু কাল্পনিক যোগাযোগ উদ্ধৃত করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রচারিত এসব তথ্যের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশের কোনো দূতাবাসের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইনকিলাব বন্ধ : ছাপাখানা ও সার্ভার রুম সিলগালা : বার্তা সম্পাদকসহ চার সাংবাদিক গ্রেফতার, সম্পাদক প্রকাশকের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা, কম্পিউটার জব্দ
Thursday, January 16, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment