আমেরিকান কূটনীতিকের বিস্ফোরক মন্তব্য : ভারতীয়দের চেয়ে মার্কিনি কুকুরের স্বাস্থ্য ভালো : হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাসকে তাচ্ছিল্য করে ‘নির্বোধ গাভী’ বলে মন্তব্য

Wednesday, January 15, 2014

ভারতে নিযুক্ত একজন মার্কিন কূটনীতিক ভারতের জনগণ, দরিদ্রতা ও হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

তার নাম ওয়েন মে। শুধু ওয়েন মে নয়, তার স্ত্রী আলিসিয়া মুলারও একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।

অনলাইনে একটি ছবি পোস্ট করে তারা মন্তব্য করেন, তাদের পোষা কুকুর ‘পাসো’ তাদের ভারতীয় মালির চেয়ে বড় এবং স্বাস্থ্যবান। এর কারণ, তাদের কুকুরটি ওই ভারতীয় মালির চেয়ে বেশি পুষ্টিকর খাবার পায়।

ভারতে অবস্থানকালেই ফেসবুকে তারা এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছেন এনডিটিভি। নিউইয়র্কে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি কনসাল

জেনারেল দেবযানি খোবরাগাড়েকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে ভারত সরকার গত সপ্তাহে ওয়েন মে’কে বহিষ্কার করে।

মার্কিন দূতাবাসের লিয়াজোঁ অফিসার হিসেবে আলিসিয়া মুলার একটি আলোচনায় বলেন, ভারতীয়রা কচুঘেচু খায় অথচ তারা সহিংসতা ও যৌন অপরাধের হোতা। এই নিরামিষভোজীরাই ধর্ষণে জড়িত, (পশ্চিমা) মাংসভোজীরা নয়।

যখন একজন কৌতুক করে বলেন যে, তিনি (মাংসভোজী হওয়া সত্ত্বেও) কখনও ধর্ষণ করেননি তখন তার জবাব ছিল, ‘একথাটি শুধু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, পশ্চিমাদের ক্ষেত্রে নয়।’

আরেকটি ঘটনায় একটি ভারতীয় গাভীর ছবি পোস্ট করে মুলার লিখেছেন, ‘নির্বোধ গাভী’।

একজন তাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে আপনি ভারতীয়দের দেবীকে অপমান করেছেন। মুলার বলেন, ‘এই প্রথম এটা করলাম না, এটাই শেষও নয়।’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা গাভীকে দেবীর আসনে বসিয়ে থাকে।

এছাড়া একটি সাক্ষাত্কারে ওয়েন মে ভারতের পানি ও বায়ুদূষণ, ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা, রোগব্যাধির প্রকোপ ও জনসংখ্যার চাপের সমালোচনা করেন।

ওয়েন মে ভারতের মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান হিসেবে কাজ করতেন।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ বলেছেন, এসব মন্তব্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।

উল্লেখ্য, গৃহপরিচারিকার ভিসার আবেদনে তথ্য জালিয়াতি এবং তাকে নির্ধারিত মজুরির চেয়ে কম দেয়ার অভিযোগে গত ১২ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে দেবযানিকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারের সময় প্রকাশ্যে তার হাতে হাতকড়া পরানো হয় এবং ধরে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র করে দেহ তল্লাশি করা হয়। এরপর নেশাখোরদের সঙ্গে তাকে কয়েদখানায় রাখা হয়।

এ ঘটনায় ভারতজুড়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়।

দেবযানিকে আটক করে যেভাবে তল্লাশি করা হয়েছে তা অপমানজনক এবং এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবিও জানানো হয়েছে। তবে মার্কিন সরকার তা নাকচ করে দেয়।

স্মরণ করা যেতে পারে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে কুকুরী বলে মন্তব্য করেছিলেন। নিক্সন এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার ‘একমত’ হয়েছিলেন যে, ‘ভারতীয় জারজদের দুর্ভিক্ষে মরা উচিত’। ভারতীয়দের বিশ্বাসঘাতক বলেও মন্তব্য করেছিলেন তারা। সূত্র: আমারদেশ





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License