আমাদের সিলেট ডটকম:
টানা হরতাল আর অবরোধে প্রায় দেড় মাস ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে । দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাড়ছে সেশনজট। শিক্ষকরা নিয়মিত কাজ করতে না পারায় বিভিন্ন বিভাগের ফল প্রকাশও আটকে আছে। আর অবরোধে ক্যাম্পাসে অবরুদ্ধ জীবন যাপন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স কোয়ার্টার ও ডরমেটরীতে থাকা শিক্ষকরা। বের হচ্ছেন না ক্যাম্পাস থেকে। নেই ক্লাস পরীক্ষার চাপ। ফলে অনেকটা অলস সময় পার করছেন শিক্ষকরা। অবরোধে ক্লাস পরীক্ষা না হওয়ায় ক্যাম্পাস ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি আবাসিক হল এখন শিক্ষার্থী শূন্য। আবাসিক হল গুলোতে এখন ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। জানা যায়, পরিবহন নির্ভর থাকায় হরতাল অবরোধ হলেই শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল থাকে। সকল শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী সিলেট নগরীতে মেস কিংবা বাসা ভাড়া করে থাকে। ফলে নিরাপত্তাহীনতার কারণে রাজনৈতিক কর্মসূচীর মধ্যে বাস চলাচল না করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। দীর্ঘ দিন ক্লাস পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম না হওয়ার ফলে অলস সময় পার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে অঘোষিত ছুটি। নেই নিত্য দিনের ক্লাস, এস্যাইনমেন্ট, টার্মটেস্ট আর ফাইনাল পরীক্ষা । লাইব্রেরী ভবনে নেই শিক্ষার্থীদের নিত্য দিনের পড়াশোনা। শিক্ষক-শিক্ষার্থী না থাকায় ক্যাম্পাসের ফাস্ট ফুড, চটপটি আর ফুসকার দোকান গুলোতে চলছে মহামন্দা। কিছুদিন পর পরই ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণ আর হামলার ঘটনায় বাড়ি ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। দৃর্বৃত্তদের হামলার আশংকায় আতংকে ভূগছেন শিক্ষকরাও। সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষকদের মানববন্ধনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এর পর থেকেই ক্যাম্পাস অনেকটা ফাঁকা হয়ে পড়েছে। এজন্য শাবি ক্যাম্পাসে এখন ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, শিক্ষকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন । হল সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের ১ম ছাত্রী হল ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল নামে ২টি হল রয়েছে। বর্তমানে ২টি আবাসিক হলে সবেমাত্র ৩০-৩৫ জন ছাত্রী রয়েছে। অথচ এই দুই হল মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার ছাত্রী হলে থাকে। মেয়েদের হলে রাজনৈতিক সমস্যা না থাকলেও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতর কারণে হল ছেড়েছে মেয়েরা। গুটি কয়েক ছাত্রী আর সিকিউরিটি গার্ড ছাড়া হলে কেউ নেই। ছাত্রী হল ও হলের আশপাশ এলাকায় ছাত্রীদের নিত্য দিনের আড্ডা নেই। হল যেন এখন নীরব উপত্যকা। সরেজমিনে দেখা গেছে, আর ছাত্রদের ৩টি আবাসিক হল এখন পুরোটাই ফাঁকা। তাই সরকারের মেয়াদ শেষ হবার সাথে সাথে ছাত্রলীগ কর্মীরাও হল ছেড়ে যাচ্ছে। আর ছাত্রশিবির আগে থেকেই হল ছাড়া। বাম সংগঠন গুলোর গুটি কয়েক নেতাকর্মী ছাড়া হলে তেমন শিক্ষার্থী নেই। শাহপরান হল, সৈয়দ মুজতবা আলী হল ও ২য় ছাত্র হলে প্রায় ২ হাজার ছাত্রদের আবাসন সুবিধা রয়েছে। সরকারের শেষ সময় হওয়ায় শিবিরের হামলার আশাংকায় মূলত হল ছেড়েছে ছাত্ররা। গত কয়েক মাস ধরেই হল গুলো অনেকটা ফাঁকা। তবে কিছু শিক্ষার্থী হলে থাকলেও তারা টানা অবরোধের কারণে হল ছেড়েছে। ফলে হল গুলোতে ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আবাসিক ছাত্র জানান, নিরাপত্তাহীনতার কারণে তারা হল ছেড়েছে। ২য় ছাত্র হলের একজন শিক্ষার্থী জানান, বর্তমানে হলে ম্ত্রা ৮-১০ জন ছাত্র রয়েছে। অন্যান্য হল গুলোরও একই অবস্থা।
টানা অবরোধে স্থবির শাবি.শিক্ষার্থী শূন্য আবাসিক হল
Monday, January 13, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment