রাসেল জানান, বিভিন্ন ইসলামিক সাইটের প্রতি তাঁর আগ্রহ রয়েছে। এই আগ্রহ থেকেই তিনি ‘দাওয়াহ ইল্লালাহ’ নামে একটি সাইটের লিংকে লাইক দেন। এরপর ওই সাইট থেকে আল জাওয়াহিরির ভিডিওটি তাঁর কাছে আসে। পরে সেটি তিনি নিজের বিভিন্ন সাইট ও ব্লগে ছড়িয়ে দেন।
তবে তিনি নিজে ওই ভিডিও সংগ্রহ করেছেন কি না, জানতে চাইলে রাসেল বলেন, লাইক দেওয়ায় ভিডিওটি তাঁর কাছে আসে। পরে তিনি সেটি তাঁর ব্লগে প্রচার করেন। ইউটিউবে তিনি ভিডিওটি আপলোড করেননি বলে জানান।
রাসেল বলেন, আমি ২০১০ সালে এসএসসি পাস করার পর ফেসবুক ব্যবহার করি। আমি সব সময় ইসলাম নিয়ে মতামত ব্যক্ত করে থাকি। ইসলাম নিয়ে লেখালেখি করি।
এর আগে একই সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মিডিয়া এন্ড লিগাল উইংয়ের পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান বলেন, কথিত অডিও বার্তাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশের পর র্যাবের গোয়েন্দা টিম কাজ শুরু করে। এর উৎস এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে একাধিক টিমের সহযোগিতায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন উৎস থেকে নিশ্চিত হই যে, রাসেলের মাধ্যমেই বাংলাদেশে এই অডিও বার্তাটি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হয়।
তিনি আরো জানান, রাসেল টাঙ্গাইলের একটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এবং একজন দক্ষ আইটি বিশেষজ্ঞ। সে ফেসবুক ও কয়েকটি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে এর আগেও বিভিন্ন উগ্রমতবাদ ও বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালায়।
বহুল আলোচিত আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার কথিত অডিও বার্তাটি প্রচারের অভিযোগে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের মাঝিপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এসময় তার কাছ থেকে তিনটি মোবাইল সেট, দুইটি ল্যাপটপ ও বেশ কিছু বই উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে উগ্র ইসলামী চেতনা ধারণ করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজস্ব মতবাদ প্রচার করতো রাসেল।
গত বছর ৫ মে হেফাজতের ঘটনার পর ৭ মে সে তার ব্যক্তিগত ই-মেইলে ইরানের প্রেসিডেন্টের কাছে একটি মেইল করেছিল।
- See more at: http://ift.tt/1kRvsfU
No comments:
Post a Comment