আমাদের সিলেট ডটকম :
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর বিপরীতে সিদ্ধান্ত নিলে দল থেকে বহিষ্কার হতে হবে। এমন সিদ্ধান্ত ছিল সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের। বিদ্রোহীদের ব্যাপারে নির্বাচনের আগেই তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে বলে আগাম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দলটির সিনিয়র নেতারা। আর কার্যত হয়েছেও তাই। আওয়ামী লীগের ৭ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় শনিবার রাতে। এর মধ্যে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভা করে ওই ৭ জন বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করে জেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু জেলা নেতাদের ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন বহিষ্কার হওয়া প্রার্থীরা। তারা স্বতন্ত্র-প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ওই ৭ প্রার্থী বহিষ্কার সঠিক হয়নি দাবি করে জানিয়েছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউকে বহিষ্কার করতে হলে তাকে আগে শোকজ করতে হয়। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা তা করেন নি।
দলীয় সূত্র জানায়, শুধু প্রার্থী নয়, বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে যেসব নেতাকর্মীরা কাজ করবেন তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে দলের হাইকমান্ড। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত অনুসারে কাজ করেছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী জানান, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত হচ্ছে-যারা দলের সিদ্ধান্তের বিপরীতে প্রার্থী হবেন তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্রোহীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত কেন্দ্র গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বহিষ্কৃত উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, গোলাপগঞ্জের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন ইসলাম কামাল, একই উপজেলার উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলী আকবর ফখর, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইউনূস আলী ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, ওসমানীনগর থানা আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক ইকবাল হোসেন মস্তান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য শামসুল ইসলাম রড ও একই উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী।
তবে বহিস্কারের সাথে ভিন্নমত পোষন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হুমায়ুন ইসলাম কামাল। তিনি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, বহিষ্কার করতে হলে আগে শোকজ করতে হয়। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বহিষ্কার করতে পারে। জেলা কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত। এ ব্যাপারে তিনি শিগগিরই দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির শরণাপন্ন হবেন বলে জানিয়েছেন।
জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইউনূস আলী জানান, তিনি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী এবং চারবারের জনপ্রতিনিধি। তাকে দল থেকে বহিষ্কারের আগে শোকজ করতে হবে। শোকজের জবাব দিতে না পাড়লে কেন্দ্র তাকে বহিষ্কার করবে। তিনি নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানান। একইভাবে দল থেকে বহিষ্কৃত অন্য চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা নির্বাচন করবেন বলে জানান। পাশাপাশি তাদের নির্বাচনী প্রচারণায় সাথে আওয়ামী লীগের কর্মি সমর্থকরা রয়েছেন বলেও তারা দাবি করেন।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও সিনিয়র নেতা আ.ন.ম শফিকুল হক বলেন, জেলার সুপারিশে কেন্দ্রীয় কমিটি বহিষ্কার করতে পারে। জেলার সুপারিশকে প্রধান্য দিয়ে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিবে কেন্দ্রীয় কমিটি। সর্বোপরি বহিষ্কারের মালিক হচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলে জানান তিনি।
আ’লীগের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান : বিদ্রোহী প্রার্থীরা মাঠে
Monday, February 17, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment