চলমান আন্দোলনে যানবাহনে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের নিন্দা করেছে জামায়াত। দলের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বানচালের উদ্দেশে এবং জনমনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টির জন্য সুপরিকল্পিতভাবে সরকারের দলীয় সন্ত্রাসীরা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা সংঘটিত করেছে। তিনি বলেন, বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। দেশের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে সরকারের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে রাস্তায় নেমে এসেছেন। আন্দোলনের সফলতা দেখে সরকার বিরোধীদলের বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগ করে তার দায় বিরোধীদলের উপর চাপাতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, বিরোধীদলের কর্মী-সমর্থকরা যেখানে রাস্তায় দাঁড়াতেই পারছে না, পুলিশ যখন বিরোধী দলের মিছিল ও সমাবেশের ওপর নির্বিচারে গুলি চালাচ্ছে, তখন বাসে অগ্নিসংযোগকারীদের তারা ধরতে পারছে না কেন? পুলিশের নাকের ডগায় কিভাবে দুষ্কৃতিকারীরা বাসে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়? এই ধরনের ঘটনা থেকে প্রতীয়মান হয়, সরকার তার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য এহেন নৃশংস ঘটনা সংঘটিত করছে। তিনি বলেন, মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিরোধীদল চরম জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এই সরকারের সময়ে বিরোধীদলের উপর যে জুলুম-নিপীড়ন চাালানো হয়েছে তা ইতিহাসের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি গণতান্ত্রিক দলকে নির্মূল করার জন্য সরকার নানামুখী ষড়যন্ত্র করেছে। জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করার জন্য দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মানবতা বিরোধী অপরাধের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। রাজপথে জামায়াত ও শিবিরের কর্মী দেখামাত্রই নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। গত ৫ বছরে জামায়াতের প্রায় ১০ হাজার কর্মীকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। ২৬ হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে জামায়াত ও শিবিরের প্রায় ৫ লাখ নেতা কর্মীকে। উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার প্রাক্কালে নতুন মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের জেলগেট থেকে দফায় দফায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: দেলাওয়ার হোসেনকে রিমান্ডের নামে বর্বর অত্যাচার চালিয়ে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। সরকারের দলীয় ক্যাডার ও পুলিশের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পায়নি বৃদ্ধ, শিশু এমনকি পর্দানশীন মহিলারাও। এত কিছুর পরও জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির গত ৫ বছরে চরম ধৈর্য্যরে পরিচয় দিয়েছেÑ এখনও দিচ্ছে ।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment