বিশ্বনাথের বিএনপি-জামাত নেতা ইউপি চেয়ারম্যানরা বরখাস্ত ঠেকাতে পারলেন না
জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা আবারো বরখাস্ত হলেন। তারা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদধারী। এর আগেও তাদেরকে একবার বরখাস্ত করা হয়েছিল।
মূলত: বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি এম. ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হবার পর বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে পুলিশের সাথে বিএনপি-জামাতের সংঘর্ষ, ৩ জনের মৃত্যু ও উপজেলা পরিষদ ভবনে অগ্নিসংযোগসহ নানা প্রকার নাশকতার দায়ে এই ইউপি চেয়ারম্যানগণ দ্বিতীয়বার বরখাস্ত হলেন।
তারা ফের বরখাস্ত হচ্ছেন বলে খবর পেয়ে গোপনে ঢাকা গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে ধর্ণা দেন; কিন্তু বরখাস্তের আদেশের চিঠি সাময়িকভাবে গোপন করতে পারলেও বরখাস্ত ঠেকাতে পারেননি। শেষপর্যন্ত সোমবার ২ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় ৭ ইউপি চেয়ারম্যানের বরখাস্তের লিখিত আদেশটি সিলেটের জেলা প্রশাকের কার্যালয়ে ফ্যাক্সে পৌঁছে যায়। একই প্রক্রিয়ায় রাতে পৌঁছে রামপাশা ইউপি চেয়ারম্যানের বরখাস্তের আদেশ। মঙ্গলবার বিশ্বনাথের ইউএনও সোনামনি চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঢাকায় অবস্থানের কথা স্বীকার করলেও এই বরখাস্তকে মানতে নারাজ বিশ্বনাথ সদর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন। তিনি জানান, প্রথমবার বরখাস্ত হওয়ার পর তারা হাইকৌর্টে রিট করেন। এই রিট স্ট্যা থাকা অবস্থায় কেনাভাবেই বরখাস্ত করা যায় না।
এ বছরের ২০ নভেম্বর স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউপি-২ শাখা) উপ সচিব আবু তাহের মোহাম্মদ জাবর স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক স্মারকের মাধ্যমে বিশ্বনাথের ইউপি চেয়ারম্যানদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়।
No comments:
Post a Comment