মানবজমিন: রাত পৌনে চারটা থেকে অভিযান শুরু। তখন তালাবদ্ধ ছিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটক। ওই কার্যালয়ের সামনে নিয়মিত দায়িত্বে ছিলেন কয়েকজন পুলিশ। তাদের সহযোগিতা না নিয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল মই দিয়ে দুতলার বেলকনিতে উঠে। দরজা ভেঙ্গে দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করে। এরপর সাটারের তালা কেটে তৃতীয় তলায় যায় পুলিশ। সেখানে রুহুল কবির রিজভীর কক্ষে প্রবেশের জন্য প্রথমে কাচের দরজা ভেঙে ফেলা হয়। এরপর শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। একই সময়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কক্ষে প্রবেশ করেন কয়েকজন ডিবি সদস্য। তারা মহাসচিবের চেয়ারটি উল্টে রাখেন। টেবিলের ড্রয়ার খোলে সব কাগজপত্র তছনছ করেন। কিছু কাগজ ছিড়ে ফেলা হয়। তছনছ করা হয় ল্যাপটপ ও কম্পিউটার। অভিযানের সময় কার্যালয়ে থাকা কর্মচারীরা জানিয়েছেন, অপ্রয়োজনে ডিবি সদস্যরা বিভিন্ন আসবাব ও ফাইলপত্র তছনছ করে। এসময় ছবি তুলার চেষ্টা করলে লাঞ্ছিত করা হয় দুই সাংবাদিককে। ডিবি সদস্যরা সাংবাদিকদের বলেন, ছবি তোলা যাবে না। সোজা বসে থাকেন। রিজভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সময় টিভির ক্যামেরায় ধারণ করছিলেন ক্যামেরা পারসন সালাহউদ্দিন আল মামুন। এসময় তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন ডিবির দুই সদস্য। এক পর্যায়ে তার হাত থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে মেঝেতে ছোড়ে ভেঙে ফেলা হয়। সোয়া চারটার দিকে একটি সাদা রঙ্গের মাইক্রোবাসে করে রিজভী ও বেলালকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment