সিলেট শান্তি সমাবেশের ঘোষণা : ঐক্যবদ্ধ জাতিই পারে আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করতে
লাখো শহীদের রক্তস্নাত বীর প্রসবিনী বাংলায় আবার গৃধ্নু-শ্বাপদের উন্মত্ত আস্ফালন শুরু হয়েছে। আজকের এই বাংলাদেশ রক্ত-পাগল প্রেত-পিশাচের থাবায় থাবায় জর্জরিত। বাংলা ও বাঙালির ইতিহাসের সবচাইতে গৌরবজনক যে অধ্যায় সেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত এইসব মানুষজন্তু দেশের সরলপ্রাণ, ধর্মপ্রাণ ও শান্তিকামী মানুষের শান্তি বিনাশের জন্য সদা তৎপর। বাংলাদেশে আজ শান্তি দারুণভাবে বিঘ্নিত। একাত্তরের পরাজিত প্রতিক্রিয়াশীল কুচক্রীমহল তাদের ফণা যে গুটিয়ে নেয়নি তার প্রমাণ তাদের সাম্প্রতিক কালের গণবিরোধী সব অপতৎপরতা। নিজের ও পরিবারের জীবিকা উপার্জনের জন্য বা নিত্যদিনের নানান কর্মোপলক্ষে এদেশের সকলস্তরের যে মানুষেরা তাদের কর্মস্থলে যায় তাদের প্রতি ককটেল নিক্ষেপ কিংবা যানবাহনে অগ্নিসংযোগ আর নানাবিধ উন্মত্ততা চালিয়ে তারা যেভাবে শান্তি বিনষ্ট করে চলেছে।
এর বিরুদ্ধে জনগণের ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য গড়ে তোলা একান্তই অপরিহার্য আজ। বাংলার শান্তিকামী আপামর আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার প্রতি আমাদের আহবান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তথা অসাম্প্রদায়িক চেতনাস্নাত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা জানি যে, জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তিই কেবল পারে সকল ভ্রুকুটিকে অগ্রাহ্য করতে, সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করতে এবং সকল অপশক্তি বা দানবীয় শক্তিকে পরাভূত করতে। একাত্তরে আমরা ঐক্যবদ্ধ মানবশক্তিকে জেগে উঠতে দেখেছিলাম আর সেই শক্তির নিকট দানবীয় অপশক্তির পরাজয়ও দেখেছি আমরা সেদিন। ঐক্যবদ্ধ জাতিই কেবল পারে তার আরাধ্য কাজ সম্পন্ন করতে কিংবা তার আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়ন করতে।
No comments:
Post a Comment