রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আঁটঘাট বেঁধে মাঠে নামতে যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের মন চাঙ্গা করে তুলতে দেশের প্রতিটি জেলায় কেন্দ্রীয় নেতারা দফায় দফায় সফর করছেন। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন ও অচল করার প্রস্তুতি নিতে দলটির কেন্দ্রীয় ফোরাম থেকে নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জামায়াতের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। জামায়াত সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ইতিমধ্যে দেশকে ১২টি অঞ্চলে ভাগ করে দেশের প্রতিটি জেলায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা সফর করেছেন। এসব সফরে নেতাকর্মীদের কমপক্ষে ৪৫ দিন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেয় হয়। এদিনগুলোতে জীবনবাজি রেখে নেতাকর্মীদের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেছে কেন্দ্রীয় নেতারা। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই বিরোধী দলীয় জোটের প থেকে যে কর্মসূচি আসবে মূলত তা বাস্তবায়নের জন্যই জামায়াত নেতারা তৎপর। প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পাশাপাশি নিজেদের শক্তিও প্রদর্শন করবে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। যেসব জায়গায় বিএনপি দুর্বল সেসব স্থানে জামায়াত নিজ উদ্যোগে মাঠে নামবে। তবে বিএনপি মাঠে নামুক আর নাই নামুক ১৮ দলের ব্যানার নিয়ে রাজপথ দখল রাখতে মরিয়া জামায়াত। আন্দোলনের ব্যাপারে জামায়াতের অতি-উৎসাহের কারণ সম্পর্কে ওই সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার জামায়াতের ওপর অত্যাচারের স্টিম-রোলার চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এ পরিস্থিতিতে বিরোধী জোটের প্রধান দল বিএনপির একমাত্র দাবি হচ্ছে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু জামায়াতের ইস্যুর শেষ নেই। বরং আন্দোলনের সাথে জামায়াতের অনেক ইস্যুই জড়িত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইস্যুগুলো হচ্ছে- দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া, শীর্ষ নেতাদের থেকে শুরু করে সারাদেশে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি। তার সাথে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যু তো আছেই। জামায়াতের দৃঢ় বিশ্বাস- এ সরকারের পতন ঘটাতে না পারলে কোনো দাবিই আদায় সম্ভব হবে না। এদিকে জামায়াতে ইসলামীর অপর একটি সূত্র জানায়, এতোদিন রাজধানী ঢাকাতে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন জোরদার না করতে পারলেও এবার তার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সরকার তফসিল ঘোষণার পর পরই তার রূপ দেখতে পাবে। এজন্য সারাদেশ থেকে বাছাই করে আনা হচ্ছে দলের দক্ষ জনশক্তিকে। তারা ঢাকা শহরের প্রতিটি স্পটে সক্রিয় ভূমিকায় থাকবে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর আন্দোলনের প্রস্তুতি ও সার্বিক বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও নীতিনির্ধারক এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বলেন, বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে এবং জনমত উপেক্ষা করে যদি সরকার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে তা হবে সরকারের একগুয়েমি ও হঠকারী সিদ্ধান্ত। একতরফা নির্বাচন জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে ওই ষড়যন্ত্রের নির্বাচন প্রতিহত করবে। এখন আন্দোলন যা চলছে তফসিল ঘোষণার পর তা আরো কঠোর থেকে কঠোরতর হবে।নির্বাচনের সাথে সম্পৃক্ত অফিসসহ রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের মাধ্যমে সারাদেশ অচল করে দেয়া হবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment