আমাদের সিলেট ডটকম:
তফসীল ঘোষণার পর পরই সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে বের হওয়া মিছিলে পুলিশের ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে, এতে কেউ হতাহত হয়নি। এ ঘটনার পরপরই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকেই নগরীতে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সিলেট নগরীতে ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচনী তফসীল ঘোষণার পর পরই সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে মিছিল বের করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। এর আগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি দিলদার হোসেন সেলিম, বিএনপি নেতা নাসিম হোসাইন, জামায়াত নেতা ডা. সায়েফ আহমদ, ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা অবস্থান নেয় কোর্ট পয়েন্টে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা জিন্দাবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মিছিলটি জিন্দাবাজারে পৌঁছালে পেছনের অংশে অবস্থানরত বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে পুলিশ। ফলে মিছিলের পেছনের অংশ ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পুলিশের ধাওয়ার মুখে বিএনপি নেতাকর্মীদের একাংশ তাঁতিপাড়া হয়ে পালিয়ে যায়। অপর অংশ মিছিল নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত যান। সেখানে গিয়ে সমাবেশে না করেই মিছিল শেষ করা হয়।
এদিকে, তফসীল ঘোষণার ৮/১০টি মোটর সাইকেল নিয়ে মিছিল বের করে বেশ কয়েক জন যুবক ঝটিকা মিছিল নিয়ে আসে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকায়। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ট্রাকের গ্লাস ভাংচুর করে। তারা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ইব্রাহিম স্মৃতি সংসদের মার্কেটটি নীচ তলায় কয়েকটি দোকানের শাটারে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এ সময় সোবহানীঘাট সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে ফেলেন।
এছাড়া, কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্টায় দিয়ে মিছিল শেষ হওয়ার পর পরই মীরবক্স টুলা, নয়াসড়ক হয়ে স্থান ত্যাগকারী বিএনপি ও জামায়াত শিবির কর্মীরা একাধিক গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। গাড়ী ভাংচুর করা হয় লামাবাজার ও রিকাবীবাজার এলাকাতেও।
নগরীর মীরাবাজার এলাকা থেকে একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির জামান গ্রুপের কর্মীরা ধোপাদীঘিরপাড় এলাকায় আসেন। এসময় তারা ধোপাদীঘিরপাড়ে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে, এতে কার্যালয়ের কোন ক্ষতি হয়নি। জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, এখানে অতীতে জাতীয় পার্টির একটি অফিস ছিল। কিন্তু সেটি এখন আর নেই। আগুনে তাদের কোন কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
এদিকে, জিন্দাবাজার এলাকাতেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে জনসাধারণের মাঝে। নির্ধারিত সময়ের আগেই মার্কেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আতঙ্কিত লোকজন দ্রুত জিন্দাবাজার ত্যাগ করেন। জিন্দাবাজার মোড়ে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া, বিজিবি’র ৮/১০টি গাড়ী টহল দেয় ঐ এলাকায়।
জিন্দাবাজারে অবস্থানরত কোতোয়ালী থানার এসি মলিক আহসান উদ্দিন সানি জানান, নগরীর আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ তৎপর আছে। বিচ্ছিন্নভাবে যারা গাড়ী ভাংচুর করছে তাদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
এদিকে, সিলেটের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম নগরীতে ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সন্ধ্যার পর থেকে বিজিবি’র ৪টি গাড়ী নগরীর সিটি পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা কোর্ট পয়েন্ট ত্যাগের পর পরই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেয়। এখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতা তফসীল ঘোষণা করায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। সমাবেশে আওয়ামী লীগের জেলা সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
নগরীতে বিজিবি মোতায়েন: নির্বাচনী তফসীল ঘোষণার প্রতিবাদে সিলেটে নগরীর বিভিন্ন স্থানে গাড়ী ভাংচুর
Monday, November 25, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment