পাগলের খপ্পরে পড়ার দু’দিনের মাথায় অর্থমন্ত্রীর নতুন মন্তব্য : ক্ষমতায় থাকলে মন্ত্রী-এমপিদের আয় বাড়া স্বাভাবিক

Wednesday, December 25, 2013

আমারদেশঃ সচিবালয়ে পাগলের খপ্পরে পড়ার পর দু’দিন পার হওয়ার আগেই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের এমপিদের বিপুল পরিমাণ অর্থবিত্তের মালিক হওয়ার বিষয়ে নতুন তথ্য দিলেন। তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকলে মন্ত্রী এমপিদের সম্পদ বাড়া স্বাভাবিক ঘটনা।

প্রসঙ্গত, রাবিস, ভোগাস, স্টুপিড প্রভৃতি শব্দ উচ্চারণ ও উল্টা-পাল্টা মন্তব্য করে আলোচনায় থাকা অর্থমন্ত্রী গত রোববার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে পাগলের খপ্পরে পড়েন। কানাডিয়ান হাই-কমিশনারের সঙ্গে বৈঠককালে সদর দরজা দিয়ে অর্থমন্ত্রীর কক্ষে ঢুকে পড়েন এক ব্যক্তি। শেয়ারবাজারে সর্বস্ব হারানো ওই ব্যক্তি নিজেকে ‘দেশের মালিক’ দাবি করে অর্থমন্ত্রীর কাছে তার ‘মাল ও মেশিন’ ফেরত চান তিনি। কানাডিয়ান হাইকমিশনারের উপস্থিতিতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন অর্থমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিরোধী দল নির্বাচনে না আসায় এবার কেন্দ্রে ভোটাররা আসবে না। ভোটারবিহীন নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।’ অর্থমন্ত্রীর ওইদিনের এ বক্তব্যেও রীতিমত হতবাক হয়ে যান সাংবাদিক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অর্থমন্ত্রীর ব্রিফিং শেষে একজন প্রবীণ সাংবাদিক বলেন, মন্ত্রী মহোদয় আজ পাগলের সঙ্গে কিছুক্ষণ কাটিয়েছেন। এ কারণেই তিনি তার জীবনের সঠিক বক্তব্যটি তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।

পাগলের খপ্পরে পড়ার পর দু’দিন পার না হতেই আগের অবস্থানে অর্থমন্ত্রী। গত ৫ বছরে মন্ত্রীদের বিপুল পরিমাণ অর্থবিত্তের মালিক হওয়া ও নানা ধরনের দুর্নীতির খবর নিয়েই এখন দেশের সর্বত্র বেশি আলোচনা হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী ও এমপিদের পক্ষে সাফাই গাইলেন। এর আগেও হলমার্ক কেলেঙ্কারির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের ৪ হাজার কোটি টাকা লুটের ঘটনাকে তিনি ‘হাতের ময়লা ও কিছুই না’ বলে উল্লেখ করে দেশবাসীর নজর কাড়েন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি কিছুই না।’

গতকাল অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় থাকলে আয় বাড়া স্বাভাবিক। সম্পদ ও আয় বাড়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পাঁচ বছরে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনগণের আয় বেড়েছে। দুনিয়ার ইতিহাস হচ্ছে, যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের আয় বাড়ে। এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদের বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করবে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুদক স্বাধীন সংস্থা। তারা চাইলে করতেই পারে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, জনপ্রতিনিধিদের সম্পদের পরিমাণ প্রকাশ হওয়া উচিত। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দায়িত্ব রয়েছে—এমন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, এ বিষয়টি এনবিআরও দেখতে পারে। গত ৫ বছরেও তার আয় বেড়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License