নুরুল ইসলাম:
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশবাসীর মনে বিভিন্ন প্রশ্ন। কি হচ্ছে কি হতে যাচ্ছে? বিগত প্রতিটি নির্বাচনে যেখানে বিশ্ব সংস্থা গুলো নির্বাচন পর্যবেৰক পাঠিয়েছিল সেখানে বিশ্ব সংস্থা গুলো পর্যবেৰক পাঠাবে না তার একটি মাত্র কারণ যে এই নির্বাচনে দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অংশগ্রহণ না করায়। বিশ্ববরন্য ব্যক্তিবর্গ সহ দেশের সুশীল সমাজের লোকজন যেখানে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগই সকল সমস্যার সমাধান মনে করেন সেখানে প্রধানমন্ত্রী জোরপূর্বক ৰমতা ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন পায়তারা অবলম্বন করছেন। আর সেই কারণে প্রতিদিন দেশে চলছে বিরোধী দলের আন্দোলন সংগ্রাম শুধু নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের মধ্যে দিয়ে একটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য। প্রত্যোক ৫ বছর পরপর দেশবাসীকে এধরণের সমস্যা পড়তে হয়ে সেই জন্য দেশবাসীকে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগের মুখে। দেশের মন্ত্রী এমপি ও সরকার দলীয় নেতা কর্মীরা আইন শৃঙ্খলা-বাহিনী ব্যবহার করে কঠোর নিরাপত্তা মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করছেন কিন্তু দেশের সাধারণ মানুষ এই মুহুর্তে প্রতিটি সময় আতংকের ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছেন। দেশের রাজনৈতিক সংকটের কারণে সবচেয়ে বেশি ৰতিগ্রস্থ হচ্ছে দেশের এবং দেশের মানুষের ৰমতার পালাবদলের জন্য প্রত্যোক দিন দিতে হচ্ছে দেশের মানুষের জীবন এবং বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব সেই অবস্থা থেকে দেশবাসী কি মুক্তি পাবে না? এমন প্রশ্ন দেশের সর্ব শ্রেণীর মানুষের তাই দেশের ৰমতাশীন দল আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক একটি বড় পরিচয় আছে তাদের মধ্যে আছে দেশপ্রেম কিন’ সেখানে সেটা উপলব্ধি করা যাচ্ছে না সেখানে শুধু দেখা যাচ্ছে প্রতি হিংসার প্রতিফলন এবং ক্ষমতা আকড়ে ধরার প্রবল পায়তারা কিন’ সেটা কি সম্ভব যেখানে প্রধান বিরোধী দল সহ বাংলাদেশের মোট রাজনৈতিক দল ৫০টি দলের মধ্যে মাত্র ১৩টি দল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে সেখানে এমন স্বপ্নের শুধু অলিক প্রতিফলন করতে চেষ্টা আওয়ামীলীগের। আর আমরা প্রায় দেখে থাকি বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রী এমপি ও দলীয় নেতা কর্মীরা সংবিধানের দোহাই দিয়ে যান। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোন নির্বাচন পরিপূর্ণ সংবিধানের মধ্যে থেকে অনুষ্ঠিত হয় নাই। বিগত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে ছিলে বিএনপির সংবিধানে সেই জন্য সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয় নাই এই নির্বাচন হচ্ছে আওয়ামীলীগ ও হাসিনার সংবিধান অনুযায়ী দেশের মানুষের স্বার্থে কোন সংবিধান নয় সেটা শুধু তাদের ৰমতায় থাকার একটি পায়তারা মাত্র। যদি দেশের স্বার্থে সংবিধান হয় তবে কেন সেই সংবিধান পরিবর্তন করে একটি নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যাবে না। রাজনীতিবিদরা কেন বুঝতে পারছেন না তাদের রাজনীতি দেশর মানুষের মঙ্গলের জন্য তাদের নিজের মঙ্গলের জন্য নয় আর এই মুহুর্তে আওয়ামী সরকার তাদের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে দেশের মানুষের জন্য নয়। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি ৰমতা যাবেন আসবেন কিন’ তাদের প্রতিহিংসার জন্য প্রতিদিন যে লোক মারা যাচ্ছে সে কোন দিন আর ফিরবে না তার পরিবার সারা জীবন তাকে হারানোর কষ্ট বুকে নিয়ে বেঁচে থাকবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি সাজানো নির্বাচন যেখানে সেই নির্বাচন করে ৰমতা থাকতে পাবেন না যেনেও শেখ হাসিনা নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর নির্বাচন কমিশনের উপর দেশের মানুষের কোন আস’া নেই সেটা নির্বাচন কমিশন বুঝতে পাচ্ছেন তারপরও নির্বাচনের দিকে কমিশন এগুচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ইচ্ছে করলে সেই সমাধান মধ্যে খানে থেকে করতে পারত যদি সেই কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়ে তফসিল ঘোষণার পূর্বে দুটি দলের প্রধানকে চিঠির মধ্যে দিয়ে নিয়ে সংলাপে বসতেন তা হলে নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হত না এবং দেশবাসী এই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হত না। আজ দেশের সকল সংকটের জন্য দেশবাসী মনে করে আওয়ামীলীগ ও নির্বাচন কমিশন দায়ী। দেশবাসীকে প্রতিপৰ করে একটি নির্বাচন করা দেশের জন্য মঙ্গল জনক নয় বরং দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়া সেই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এখন বিজয়ী অর্জিত করেছে কিন্তু দেশবাসীর পরাজয় হয়েছে। এই পরাজয় শুধু বাংলাদেশের নয় গোটা বিশ্বের। একটি গণতান্ত্রীক দেশের জন্য নির্বাচন মানে আতংক নয় নির্বাচন মানে আনন্দের এবং উৎসবের সেখানে সেটার কোন প্রতিফলন হচ্ছে না। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সেখানে তত আতংক চরম ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই অবস্থা থেকে দেশবাসী কি মুক্তি পাবেন? আমরা কি একটি সুন্দর সংলাপের আশা এখন করতে পারি না? একটি সুন্দর স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পারিনা ? শুধু বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন গুম হত্যা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির দিকে অগ্রসর হব। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা অতীত ইতিহাস থেকে কোন শিক্ষা নিতে পারেন নাই কারণ অতিথ ইতিহাস থেকে দেখা যায় ৰমতাশীন দল যত বেশি বিরোধী দলের উপর নির্যাতন নিপীড়ন করেছে তত সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিশেষে বলা যায় প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে সরকারকে এই মুহুর্তে জনতার কাতারে এসে দাড়াতে হবে জনগণের মনের ভাষা বুঝতে হবে এবং বিরোধী দলকে সহিংসতা পথ পরিহার সর্বোচ্ছ শক্তি নিয়ে রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়াই এই মুহুর্তে গণতন্ত্র পূণরোদ্ধারের একমাত্র সঠিক পন্থা বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। অতিরিক্ত বল প্রয়োগের মাধ্যমে ৰমতাসীন আওয়ামীলীগ যদি শেষ পর্যন্ত একটি পাতানো নির্বাচন সম্পন্ন করে ফেলে তা হলে এটা হবে জাতির ললাটে একটি কলঙ্কের তিলক।
লেখক- সাংবাদিক নুরুল ইসলাম
এই নির্বাচন কি জনগণের প্রত্যাশা পুরন করবে ?
Monday, December 23, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment