গ্রাম আদালতের প্রতি বানিয়াচং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের জনসাধারণের আস্থা ও আগ্রহ বাড়ছে
ইমদাদুল হোসেন খান, বানিয়াচং প্রতিনিধি : অল্প সময়ে স্বল্প খরচে সুবিচার প্রাপ্তি দেখে গ্রাম আদালতের প্রতি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপেজলার উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের জনসাধারণের আস্থা ও আগ্রহ বেড়ে চলেছে।
এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়ার ন্যায় বিচারই এই আস্থা ও আগ্রহ বৃদ্ধির কারণ। ফলে সাধারণ মানুষ হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি থেকে রেহাই পাচ্ছেন।
মুক্তিযোদ্ধা হায়দারুজ্জামান খান এ নিয়ে ৬ বার ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বশেষ ২০১১ সালের ৮ অক্টোবর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেয়ার পর এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তিনি গ্রাম আদালতের বিচারক হিসাবে ৩৩৭টি মামলা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে সফল ও সন্তোষজনক নিষ্পত্তি হয়েছে ৩২৩টি মামলার। বর্তমানে মাত্র ১৪টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ পর্যন্ত নিস্পত্তি হওয়া মামলাগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ৯৪টি মামলার রায় দেয়া হয়েছে। ১৭৫টি মামলার হয়েছে আপোস। আর ৫৪টি মামলা খারিজ করে দেয়া হয়।
রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দেয়া মামলাগুলোর মধ্যে ১৫টির রায় মালামাল ক্রোকের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন সময় গ্রাম আদালত অবমাননার দায়ে ৫শ টাকা করে জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।
গ্রাম আদালতে দাযেরকৃত মামলাগুলোর বাদি ও বিবাদিদের মধ্যে ঘাগড়াকোনা গ্রামের মৃত দরবেশ উল্লার ছেলে জাকির মিয়া, একই গ্রামের নাছির মিয়ার স্ত্রী আছিয়া বেগম, কুতুবখানী গ্রামের মৃত আতাব লস্করের ছেলে জুনাব লস্কর, একই গ্রামের মুনাফ লস্করের স্ত্রী রানু বেগম, দোকানটুলা গ্রামের মৃত ছন্নার খানের মেয়ে ফাতেমা বেগম, গরীব হোসেন মহল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল বারিকের ছেলে আব্দুর রউফ, আমীরখানী গ্রামের মৃত মোতাহের মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন ও তোপখানা গ্রামের মৃত মামদ শফির ছেলে আশরাফ হোসেনসহ অনেকেই অল্প সময়ে ও স্বল্প খরচে সুবিচার পেয়ে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানান।
তারা বলেন, গ্রাম আদালতের প্রতি এই ইউনিয়নের জনসাধারণের যে আস্থা ও আগ্রহ তা অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় অনেক বেশি। সরেজমিন গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শন করে তাদের এ কথার সত্যতা পাওয়া গেছে।
গ্রাম আদালত পরিদর্শনকালে নিয়মিত আদালতের মতোই বিচারপ্রার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
No comments:
Post a Comment