আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক সোহেল আহমদকে আটকের পর ব্যাপক পুলিশী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সিলেট মহানগর ছাত্রশিবিরর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একজন সুস্থ-সবল যুবককে অল্প সময়ের ব্যবধানে কিভাবে পঙ্গু করতে হয়- তার কলঙ্কজনক নজির স্থাপন করেছে সিলেট কতোয়ালী থানার পুলিশ। গত শনিবার বিকালে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকা থেকে পুলিশ আটক করে সিলেট মহানগর শিবির নেতা সুহেল আহমদকে। ঘটনাস্থলেই তাকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে কতোয়ালী থানা পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন। এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। তার অপরাধ ছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের নামে ব্যানার বহন করছিলেন তিনি। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে আবার শুরুহয় নির্যাতন। বুট দিয়ে তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে দেয় অতি উৎসাহী পুলিশের সদস্যরা। তাকে নিয়ে কতোয়ালী থানা চত্বরে প্রবেশ করার পর আবারও শুরু করে নির্যাতন। এ সময় কতোয়ালী থানার এসআই তারেক এবং ওসি আতাউর রহমানও নির্যাতনে যোগ দেন। দফায় দফায় চলে তার উপর এ অমানুষিক নির্যাতন। নির্যানের পর নির্যাতনে তিনি বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। একবার জ্ঞান ফিরে পেলে তিনি পানির পিপাসায় চিৎকার করলে তাকে চোখ বেধে আবার শুরু করে নির্যাতন। এক পর্যায়ে তার তার পায়ের নখ তুলে ফেলে পুলিশ। বিভিন্ন ঘটনার ছবি দেখিয়ে তাতে তার নিজের সম্পৃক্ততা ও শিবিরের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করতে বলে তারা । স্বীকার না করায় আবারও শুরু করে নির্যাতন। নির্যাতনের পর নির্যাতনে তিনি এখন মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। কেউ কিছু বললে তিনি শুধু শিশুর মত তাকিয়ে থাকেন। কথা বলতে পারেন না। যদিও আহত বন্দির চিকিৎসা করে তাকে জেলে পাঠানোর আইন রয়েছে। কিন্তু ওসি আতাউর রহমান তাকে কোন ধননের চিকিৎসা ছাড়াই পরের দিন কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। গ্রেফতারের দিন রাতে সুহেল আহমদকে দেখতে ও তার জন্যে রাতের খাবার ও শীতের কিছু কাপড় নিয়ে তার বৃদ্ধ বাবা সুদুর কানাইঘাট থেকে তীব্র শীতের মধ্যে কোতোয়ালী থানায় আসলে তাকে তার ছেলের সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি। বরং তাকেও অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে ওসি আতাউর রহমান। শেষ পর্যন্ত তাকেও জেল ঢুকানোর হুমকি দেয় ওসি আতাউর রহমান। বাধ্য হয়ে তিনি তার ছেলে সাথে দেখা না করেই বুক ভরা বেদনা আর অপমান সয়ে থানা থেকে ফিরে আসেন। অমানুষিক নির্য়াতন সুহেল আহমদ হারাতে বসেছেন তার পা। পায়ের এক্সরে করানোর অনুরোধ করা হলেও পুলিশ তা করতে দেয়নি। চিকিৎসার অভাবে তিনি আজ কারাগারে মৃত্যৃও প্রহর গুনছেন।
No comments:
Post a Comment