আমাদের সিলেট ডটকম:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, এই পাঁচ বছরে কোন ব্যক্তির সেবা না করতে পারলেও আমি দেশের সেবায় ব্রতী ছিলাম। বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব বাজেট প্রণয়ণ করেছিল ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। মানুষের আয় বেড়েছে, দেশে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন কার্যক্রম সাধিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। গণমানুষের ম্যান্ডেট নিয়েই আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চায়। সংবিধানকে প্রত্যাখান করেই বিএনপির সৃষ্টি হয়েছিল, তাই সবসময় তাদের অবস’ান সংবিধানের বিপরীতে থাকে। খালেদা জিয়া দুই মেয়াদে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তার অধীনে কোন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্টু হয়নি। পক্ষান-রে এই সরকারের আমলে স’ানীয়-জাতীয় প্রায় ছয় হাজারের মত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশী-বিদেশী কোন ক্ষেত্র থেকেই এসব নির্বাচনে কারচুপির কোন অভিযোগ আসেনি।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে অবাস-ব সব কথাবার্তা বলেছেন। তার বক্তৃতায় দেশব্যাপী চলমান নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে তিনি কিছু বলেননি। কত মায়ের কোল খালি হয়েছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, মানুষের ঘর-বাড়ি-গাড়ি পুড়ানো, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাকে ব্যহত সহ বিভিন্ন নৈরাজ্য সম্পর্কে তিনি কেন কিছু বললেন না জনগণ তা জানতে চায়। নির্বাচন বানচাল করার মাধ্যমে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করতে তিনি নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছেন। এখন থেকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি-জামায়াতের সকল নৈরাজ্য কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকের পরিচালনায় কর্মী সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত সমগ্র দেশে হরতাল-অবরোধের নামে নৈরাজ্য, মানুষ হত্যা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, সাধারণ মানুষ ও পুলিশের উপর অতর্কিত আক্রমনসহ জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত করে অসি’তিশীল অবস’ার সৃষ্টি করে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের লক্ষ একটাই নির্বাচনকে রুখে দেওয়া। কিন’ সংবিধান মতেই আগামী ৫ই জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা রুখে দিতে তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
কর্মীসভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী এমপি, সৈয়দা জেবুন্নেছা হক এমপি, আশফাক আহমেদ, সিরাজ বক্স, এডভোকেট রাজউদ্দিন, এডভোকেট শাহ ফরিদ আহম্মদ, ড. আহমদ আল কবির, এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, এডভোকেট শাহ মশাহিদ আলী, এজাজুল হক এজাজ, এডভোকেট মইনুল ইসলাম, কিশোর কুমার, আব্দুল বাছিত, এডভোকেট শেখ মখলু মিয়া, ফারুক আহমদ, জগদীশ চন্দ্র দাস, সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, নাজনীন হোসেন, কবীর উদ্দিন আহমেদ, ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, এমাদ উদ্দিন মানিক, জগলু চৌধুরী, ইকবাল আহমদ চৌধুরী, অধ্যক্ষ শামছুল ইসলাম, মুফিজুর রহমান বাদশা, এ আর সেলিম, আবুল কাহের ইজু, সামসুন্নাহার মিনু, হাজী মইনুল ইসলাম, আবদাল মিয়া, বাবুল আখতার, জাফর আহমেদ চৌধুরী, শামীম আহমদ, খন্দকার মহসিন কামরান, এড. ফখরুল ইসলাম, আনহার মিয়া, শাহ নিজাম উদ্দিন, আব্দুর রহমান, সাইফুল আলম, নিজাম উদ্দিন চেয়ারম্যান, রাজ্জাক হোসেন, এডভোকেট আফসর আহমদ, কফিল আহমদ চৌধুরী, বোরহান উদ্দিন, জাবেদ সিরাজ, আব্দুল বারী, আসাদুজ্জামান আসাদ, আব্দুর রকিব বাবলু, ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, পিযুষ কানি- দে, আলম খান মুক্তি, সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, পিংকু আব্দুর রহমান, ফয়সল আজাদ খান, ফারুক আহমদ, সামছুল ইসলাম মিলন, শামস উদ্দিন শামস, জালাল উদ্দিন কয়েস, জয়দ্বীপ পাল, আজিজুর রহমান চৌধুরী মতি, সুদীন তালুকদার, কিশোর ভট্টাচার্য্য জনি।
জেলা ও মহানগর আ’লীগের কর্মীসভা: বিএনপি-জামায়াতের সকল নৈরাজ্য কঠোর হস্তে দমন করা হবে -অর্থমন্ত্রী
Wednesday, December 25, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment