অবরোধে চুনারুঘাটের লস্করপুর ভ্যালির ৩০ কোটি টাকা মূল্যের চা পাতা আটকা পড়েছে
আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট : ১৮ দলের অবরোধের কারণে হবিগঞ্জের লস্করপুর ভ্যালির ১৭টি চা বাগানের প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ১৫ লক্ষাধিক কেজি চা পাতা আটকা পড়েছে। নির্ধারিত সময়ে এই বিপুল পরিমাণ চা পাতা নিলামে পাঠাতে না পারায় চায়ের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি এসব চা বাগানকে কোটি কোটি টাকার লোকসান গুণতে হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, লস্করপুর ভ্যালির ডানকান বাদ্রার্স, ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি) ও ব্যক্তি মালিকানাধীন এসব বাগানে প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কেজি চা পাতা নিলামের জন্যে তৈরি হয়। প্রতি সপ্তাহে এসব ২ থেকে ৩টি চালানে চট্টগ্রামে পাঠানো হয় নিলামের জন্য; কিন্তু অবরোধের কারণে এখন পাঠানো যাচ্ছে না।
এদিকে নিলামের জন্যে চট্টগ্রাম পাঠানো সম্ভব না হওয়ায় প্রতিটি বাগানে তৈরি চা পাতার মজুদ বাড়ছে। অথচ অনেক বাগানে উৎপাদিত চা পাতা রাখার মতো পর্যাপ্ত গুদাম নেই। তাই বাগান কর্তৃপক্ষ এসব চা পাতা নিয়ে দারুণ বিপাকে পড়েছে।
এছাড়া নিলাম উপেযাগী চা পাতা সঠিকভাবে গুদামজাত না করার কারণে চায়ের গুণগত মানও নষ্ট হচ্ছে।
আরো জানা গেছে, লস্করপুর ভ্যালির ডানকান ব্রাদার্সের আমু, নালুয়া ও লস্করপুর, এনটিসির চণ্ডিছড়া, দেউন্দি টি কোম্পানির দেউন্দি ও লালচান্দসহ বড় বড় বাগানে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ কেজি এবং ছোট বাগানগুলোতে ৭৫ হাজার থেকে ১ লাখ কেজি চা পাতা আটকা পড়েছে।
না প্রকাশ না করার শর্তে একজন চা বাগান ব্যবস্থাপক জানান, তাদের বাগানে এসব চা পাতা সংরক্ষণ করতে না পারায় গুণগত মান নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন এভাবে থাকলে চায়ের মান তো ভাল থাকবেই না-উপযুক্ত মূল্যও মিলবে না।
আমু চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক ফারুক চৌধুরী জানান, তাদের বাগান থেকে প্রতি সপ্তাহে ২টি চালান নিলামে যেত; কিন্তু অবরোধের কারণে এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রায় দেড়লাখ কেজি তৈরি চা পাতা আটকা পড়ে আছে।
No comments:
Post a Comment