সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন বাংলাদেশের সংগীতের বিশেষ করে লোকগীতির মরমি শিল্পী পটলদা জাতীয়ভাবে বিদিত লাল দাস হিসেবে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের যেখানেই বাংলা গানের শ্রোতা আছেন সেখানেই তিনি আপন মহিমায় সবার প্রিয় শিল্পী। শুধু শিল্পী নন, তাকে বাংলা গানের অন্যতম পুরোধা হিসেবে বললেও অত্যুক্তি হবেনা। বিশ্বের যেখানেই প্রোগ্রাম করেছেন সেখানেই প্রসংশিত হয়েছেন এবং সিলেটের জন্য নিয়ে এসেছেন সুনাম। ’সাধের লাউ বানাইল মোরে বৈরাগী’ ও ’বিনোদিনী গো তর বিন্দাবন কারে দিয়া যাবে’ এসব অসংখ্য গানের সুরকার ও রূপকার হিসেবে পরিচিত লোক সঙ্গীত শিল্পী প্রয়াত বিদিত লাল দাস।
তিনি গত বুধবার নীলম লোক সংগীতালয়ের উদ্যোগে লোকসংগীতের প্রবাদপুরুষ বিদিত লাল দাসের প্রথম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে স্মরণোৎসবে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন।
প্রথমে মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রবীণ লোক সংগীত শিল্পী চন্দ্রাবতী রায় বর্মন। নীলম লোক সংগীতালয়ের সভাপতি হাজী জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও শামসুল বাছিত শেরোর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলকাতার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী স্বরাজ ভট্রাচার্য্য, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, বাংলাদেশ বেতার সিলেট কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মীর শাহ আলম। বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিপ্রদাস ভট্রাচার্য্য, নাট্য ব্যাক্তিত্ব মু. আনোয়ার হোসেন রনি। অনুষ্ঠান শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন নীলম লোক সংগীতালয়ের পরিচালক বিশ্বদীপ লাল দাস ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সহ-সাধারন সম্পাদক মোস্তাক আহমদ। বিদিত লাল দাসের জীবনী পাঠ করেন সৈয়দ সাইমুম আনজুম ইভান। সংগীত পরিবেশন করেন অতিথি শিল্পী কলকাতার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী স্বরাজ ভট্টাচার্য্য, বিরহী কালা মিয়া, সুচনা সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী এমএ আজিজ ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন নীলম লোক সংগীতালয়ের শিল্পী বৃন্দ। নীলম লোক সংগীতালয় এ বছর থেকে শুরু করেছে বিদিত লাল দাস পদক এবং তিন জনকে পদক প্রদান করা হয় পদক প্রাপ্তরা হলেন- সংগীতে সুজেয় শ্যাম, নাটকে হেমচন্দ্র ভট্রাচার্য্য ও নৃত্যে অনিল কিষন সিংহ। -বিজ্ঞপ্তি
No comments:
Post a Comment