মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে যাত্রীবেশি ছিনতাইকারী চক্র খতিব মিয়া নামে এক সিএনজি অটোরিক্সা চালককে পাহাড়ি এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে সিএনজি ছিনতাইর চেষ্টা করে।
ছিনতাইকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত চালককে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর সিএনজি চালকরা পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার দেড় ঘন্টা পর ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশের নিকট সোর্পদ করেন।
জানা যায়, শনিবার বিকাল ৪টার দিকে শ্রীমঙ্গল সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে যাত্রীবেশী তিন ছিনতাইকারী মৌলভীবাজার-থ ১১-৮৬৪১ সিএনজি মৌলভীবাজারে যাওয়ার জন্য রিজার্ভ নেয়। সিএনজি নিয়ে মৌলভীবাজার ঘুরে সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল আসার পর চালক খতিবকে নিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাহাড়ি এলাকা কমলগঞ্জের মাগুড়ছড়া অতিক্রম কালে যাত্রীবেশী তিন ছিনতাইকারীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে চালক খতিবের গলায় ও দুই হাতে উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় চালক দ্রুতগতিতে সিএনজি নিয়ে অক্সি এলাকায় পৌছে যাত্রীসহ সিএনজি অটোরিক্সা রাস্তার পাশে ফেলে অক্সি সিকোউরিটি অফিসে আশ্রয় নিলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। মুমূর্র্ষ অবস্থায় আহত চালককে কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সিএনজি চালকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর পরই কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডের চালকসহ স্থানীয় লোকজন লাউয়াছড়া পাহাড় এলাকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সবক’টি পথে অবস্থান নিয়ে তল¬াশী চালান। ঘটনার দেড় ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৭টায় শ্রীমঙ্গলের ভূরভূরিয়া এলাকা থেকে ৩ ছিনতাইকারীকে আটক করেন।
আটক ছিনতাইকারী হলেন- মৌলভীবাজার সদরের পাগুলিয়া গ্রামের জহিরুল ইসলাম (১৮), ধরকাপনের মাসুম মিয়া (১৯) ও পশ্চিম ধরকাপন গ্রামের মো. আজিজ (২২)। আটকের পর উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দিয়ে রাতে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছবি সংযুক্ত।
No comments:
Post a Comment