আমাদের সিলেট ডটকম:
চলতি সপ্তাহেই গঠিত হচ্ছে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিপরিষদ। ইতিমধ্যে সর্বদলীয় সরকার গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে সরকার। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ছাড়াও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের নিয়ে ১৬ সদস্যের একটি মন্ত্রিসভার খসড়া তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে ছাড়াই সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্য ১৬ জন সদস্য থাকবেন। আর বিএনপি আসলে এর আকার আরো বাড়বে। যদিও সর্বদলীয় সরকারে যোগ দেয়ার ব্যাপারে জাতীয় পার্টি এখনো তার অবস্থান পরিস্কার না করলেও প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বাস তারা এ সরকারে যোগ দেবেন। আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র মতে, সর্বদলীয় সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রিরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিসত সেনগুপ্ত, আবুল মাল আবদুল মুহিত, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের হানানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির জিএম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার এবং সাম্যবাদী দলের দিলীপ বড়ুয়া। সূত্র মতে, চলতি সপ্তাহেই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে। এর মধ্যে বিএনপিকেও এ সরকারের মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে বিএনপি তাতে সাড়া না দিলে তাদের বাদ দিয়েই সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এর মধ্যে যদি বিএনপি আসে তবে মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা বেড়ে ২০ থেকে জনও হতে পারে। এক্ষেত্রে বিএনপি যদি বেশি মন্ত্রণালয় চায় তবে তাও বিবেচনা করা হবে। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ বলেন, ইতিমধ্যে সর্বদলীয় সরকারের ড্রইং বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ১৭ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে এসেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বিরোধী দল বিএনপিকে বাদ দিয়েই সর্বদলীয় সরকার হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন করবে। এ নির্বাচনে যারা আসবে সংসদে প্রতিনিধিত্বের বিচারে তাদের নিয়েই সর্বদলীয় সরকার গঠিত হবে। বিএনপি এ সরকারে অংশ নিতে চাইলে তাদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতেই সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিত্ব দেয়া হবে। সর্বদলীয় সরকারে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ বলেন, জাতীয় পার্টির সাথে সরকারের কথা হচ্ছে। তারা এখন পর্যন্ত সরকারের সাথেই আছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একথা বলেছেন। বিরোধীদলীয় নেতা যদি বলেন তিনি নির্বাচনকালীন সরকারে কোন মন্ত্রণালয় চান তাও জানাতে পারেন। এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বদলীয় সরকার গঠনের কথা জানান। এসময় তিনি মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের পদত্যাগ করতে বলেন। যাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে না তাদেরকেই সর্বদলীয় সরকারে রাখা হবে বলে জানান তিনি।
এই সপ্তাহেই গঠন হচ্ছে সর্বদলীয় সরকার
Friday, November 15, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment