কানাইঘাট থানা পুলিশ পৃথক দু’টি দ্রæত বিচার আইনে মামলায় বিএনপি, তার সহযোগী সংগঠন এবং জামায়াত শিবিরের ৫৭জন নেতাকর্মীরা বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দিয়েছে।জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর কানাইঘাটের সড়কের বাজারে স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল করে। মিছিলে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জননিরাপত্তা বিঘœ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও অরাজকতার অভিযোগ এনে পুলিশ ঐদিন সড়কের বাজার থেকে দিঘীরপাড় ইউপি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কুতুব উদ্দিন মেম্বার, স্বেচ্ছাসেবকদল, শ্রমিকদল ও যুবদলের ৫নেতাকে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে। গত ৪নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই বশির এজাহার নামীয় গ্রেফতারকৃত ৫নেতাকর্মী (বর্তমানে কারারুদ্ধ) সহ বিএনপি সহযোগী সংগঠন এবং স্থানীয় জামায়াত শিবিরের ৩৬ নেতাকর্মীরা বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। অপরদিকে বিরুধী দলের বিগত ৬০ ঘন্টার টানা হরতালের প্রথমদিনে শ্রমিকলীগ নেতা জাবেদ আহমদের অটোরিক্সা ভাংচুরের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইন মামলা দায়ের করে জামায়াত শিবিরের ৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। উক্ত দ্রুত বিচার আইনের মামলায় জামায়াত শিবিরের ২১ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে গত ৪ নভেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই. টিপু সুলতান। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাড়ী ভাংচুর, জনমনে আতংক সৃষ্টির অপরাধে তদন্তপূর্বক সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’টি দ্রুত বিচার আইনের মামলায় দায়ী ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে চার্জশীট প্রদান করা হয়েছে।
এদিকে একের পর এক মিথ্যা মামলায়, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন এবং জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়ারানী করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কাহির চৌধুরী, চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, পৌর বিএনপির সভাপতি ইফজালুর রহমান, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল করিম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ ও জোটের নেতৃবৃন্দ।
No comments:
Post a Comment