জৈন্তাপুর (সিলেট) থেকে নূরুল ইসলাম : জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের লামা শ্যামপুর গ্রামে ডিবি পুলিশের সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে এত ব্যক্তি গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।গত রাত পৌনে ১১টার এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সীমান্তবর্তী লামা শ্যামপুর গ্রামে চোরাই পণ্য আটকের জন্য গত রাত সাড়ে ১ অভিযানে ডিবি পুলিশের একটি দল। তারা ঐ গ্রামের রইছ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ঐ বাড়ির লোকজন ডিবি পুলিশকে অভিযানে বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশ সদস্যদের সাথে ঐ বাড়ির লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাড়ির লোকজন ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার শুরু করলে গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডিবি পুলিশ সদস্যদের ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী সাদা পোষাকের পুলিশ সদস্যদের ডাকাত ভেবে হামলা চায়। এ সময় হামলাকারী গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলি গলায় বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন মোহাম্মদ আলী (৩০) নামের এক ব্যক্তি। এছাড়া, শরীরে স্পিন্টার বিদ্ধ হয়ে আহত হন আরো অন্ততঃ ১৪/১৫ জন। এক পর্যায়ে ৪ পুলিশ সদস্যকে আটক করে স্থানীয় মাওলানা আব্দুর রশিদের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
খবর পেয়ে জৈন্তাপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী ও ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ ঘটনাস্থলে যান। তারা ডিবি পুলিশের ৪ সদস্যকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করেন।
ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, ভুল বুঝাবুঝির জের ধরে গ্রামবাসীর সাথে ডিবি পুলিশ সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন লামা শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী (৩০)। তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া, আহত আরা অন্ততঃ ১০ জন গ্রামবাসী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে, সিলেট ডিবি পুলিশের ওসি গাজী মিজান জানান, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে চোরাই মালামাল উদ্ধারের জন্য আমরা অভিযান চালাই লামা শ্যামপুর গ্রামের রইছ উদ্দিনের বাড়িতে। ঐ বাড়িতে আমরা ভারতীয় নাসির বিড়ি, চকলেটসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য জব্ধ করি। এক পর্যায়ে রইছ আলীর সহযোগীরা আটক মালামাল ছিনিয়ে নিতে আমাদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের প্রতিহত করতে আমরা ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করি। অন্যদিকে, হামলায় আমাদের ৫/৬ জন সদস্য আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৪ জনকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, অভিযানে কোন মালামাল উদ্ধার করা যায়নি বলে ওসি জানান।
No comments:
Post a Comment