আমাদের সিলেট ডটকম:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য। মন্ত্রী সভার সিনিয়র মোস্ট সদস্য। অন্যদিকে, আরিফুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি।
মুহিত ও আরিফ দুই ভূবনের দুই বাসিন্দা। তবে, তাদের জনেরই একটি সাধারণ বা কমন পরিচয় হলো দু‘জনেই সিলেটবাসীর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এজন্য মর্যাদাপূর্ণ আসন সিলেট-১ এর নির্বাচিত সংসদ সদস্য। অন্যজন সিলেট মহানগরীর ৬ লাখ অধিবাসীর নির্বাচিত মেয়র।
এই কমন পরিচয়ই শনিবার এ দুই ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এসেছিল কাছাকাছি। দুজন-ই আরোহন করেছিলেন এক সারথী বা বাহনে। ঘুরেছেন বেশ কিছুৰণ। দেখেছেন নগরীর জলাবদ্ধতার চিত্র আর দখল হওয়া ছড়াগুলোর বেহাল অবস্থা। বিষয়টি ছিল বৃহস্পতিবার সিলেট নগরীর ‘টক অব দ্যা টাউন‘।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে নগরীর শিবগঞ্জস্থ ফরহাদখাঁ পুলে গিয়ে নিজ নিজ গাড়ি থেকে নামে অর্থমন্ত্রী মুহিত ও সিটি মেয়র আরিফ। এরপর তারা গোয়ালিছড়ার ফরহাদখাঁ পুল অংশে ছড়া দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের দৃশ্য দেখেন।
এরপর দুই জনপ্রতিনিধি গাড়ি ছেড়ে চেপে বসেন একটি রিকশায়। রিকশায় চড়ে তারা গোয়ালিছড়ার সোনারপাড়া ও খাঁরপাড়া অংশ পরিদর্শন করেন। এসময় তাদের পিছু পিছু হেটে চলেন দুইদলের নেতাকর্মী, কাউন্সিলর ও সাধারণ লোকজন। উন্নয়নে দুই নেতার এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রশংসা কুড়ায় উপস্থিত লোকজনের। পরে তারা রিকশায় চড়ে আবারো ফরহাদখাঁ পুলে ফিরে এসে গাড়িতে ওঠেন। তবে রিকশা ভাড়া দুই জনপ্রতিনিধির কাউকে পরিশোধ করতে হয়নি। ভাড়া বাবত রিকশা চালককে একশত টাকা পরিশোধ করেন রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল।
ছড়া পরিদর্শন শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, গুটি কতেক লোক নগরীর বিভিন্ন ছড়া ও খাল দখল করে রেখেছে। তাদের জন্য গোটা নগরবাসীকে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই যে কোন মূল্যে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
দুই ভূবনের দুই বাসিন্দা যখন এক সারথীতে
Saturday, November 16, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment