হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত উপজেলা জামালগঞ্জ। ৭ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা উত্তোলনে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। এ ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা প্রাপ্তদের সংখ্যাও ৫৫১০ জন। যাদের সনাক্তকরণ প্রযেজিং স্বাক্ষরের দায়িত্বভার ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার উপর ন্যাস্ত রয়েছে।
উপজেলা হিবাস রক্ষণ অফিসের সামনে ভীড় জমানো অবসর প্রাপ্ত শিক্ষকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় দিরাই উপজেলার কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। সপ্তাাহে বা দু সপ্তাহে ১দি উক্ত কর্মকর্তা আসেন। ফলে ভাতা প্রাপ্তদের ভীড়ে জটিলতা আরো বৃদ্ধি পায়।
এ ব্যাপারে দায়িত্ব প্রাপ্ত একজন মাত্র অডিটর লিপটন ভট্টাচার্য্য বলেন, কর্মকর্তাসহ ৭ জন কর্মচারীর অনুমোদন থাকলেও ১জনই দায়িত্ব পালন করছেন। অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা একা মাসের প্রথম তারিখে সকলের বেতন-ভাতা প্রদান করতে হিমসীম খাচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলায় মঞ্জুরীকৃত ৪৮টি কর্মকর্তার পদের মধ্যে মাত্র ২২ কর্মরত আছেন। তেমনি উপজেলায় মোট ৬৯৬টি কর্মচারীর পদ মুঞ্জুরীকৃত থাকলেও কর্মরত মাত্র ৪৮৭ জন। ভাতা উত্তোলনের দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ১৩১ জন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। এ ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছে ৬০ জন কর্মচারী। অন্যদিকে রয়েছে ১৬১ জন মুক্তিযোদ্ধ, বয়স্ক ভাতা ৪০৯৪ জন, বিধবা ৮৮৫, প্রতিবন্ধী ৩৫৪, প্রতিবন্ধী শিক্ষাবৃত্তি ১৫ জন। প্রত্যেকটি উপজেলার হিসাব রক্ষণ অফিস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অফিসের ৭জনে লোকের মধ্যে কর্মকর্তসহ জুনিয়র অডিটর ৩জন, টাইপিষ্ট ১জন ও এমএলএসএস ন্বিে ৬টি পদই শূন্য রয়েছে। চাকুরী জীবন সায়াতে এসে ভাতা উত্তোলনে লাইনে বা অফিস বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অথবা না পেয়ে জীবনের ঝুঁজি নিয়ে হাওরের গ্রামাঞ্চলে পৌঁছা বড় দুরূহ ব্যাপার। সর্বোপরি উপজেলায় হিসাব রক্ষণ অফিসারকে সরাসরি নিয়োগসহ শূন্য পদ পূরণ করে দুর্ভোগ থেকে রেহাই দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন চাকুরীজীবিদের।
জামালগঞ্জ হিসাব রক্ষণ অফিসে লোকবল সংকট, ৭ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন- ভাতা উত্তোলনে দুর্ভোগ
Friday, November 15, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment