বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের স্বার্থ এক ও অভিন্ন। উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়।’
ভারত সফরে সেদেশের কূটনীতিকদের সাথে তার বৈঠক সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরা একটি বড় ভুমিকা রাখতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বর্তমানে নিজ দেশে সরকারী সফরে এসে মিশিগান রাজ্যে গত রোববার প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে এক নৈশ ভোজের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এই কূটনীতিক। বাংলাদেশী কেন্দ্রিক ড্যান মজিনা তার দুদিনের মিশিগান সফরে বাংলাদেশী পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি(বাপাক)মিশিগানের হ্যামট্রামিক শহরের ‘গেইট অব কলম্বাস হল’এ এই নৈশ ভোজের আয়োজন করে। এছাড়া দুপুরে একই স্থানে ড্যান মজিনাকে সার্বজনীন সম্বর্ধনা ও দেয়া হয় বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে। হ্যামট্রামিক বাংলাদেশী-আমেরিকান বিজনেস এসোসিয়েশন ও ডেমোক্রেটিক ককাসের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা। রাষ্ট্র্রদূত ড্যান মজিনা তার বক্তৃতায় বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় ‘নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহনে একটি মুক্ত, অবাধ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়। ‘ভায়োলেন্স’ কখনোই হতে পারেনা এবং ভায়োলেন্স পরিহার করতে হবে উলেখ করে ড্যান মজিনা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বড় দলগুলোর মধ্যে সংলাপ জরুরী।
সকলেরই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, এ বিষয়ে সকলকে আরো শ্রদ্ধাশীল হতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের গামেন্টস শিল্পের নান বিষয় তুলে ধরেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তৈরী পোষাক রপ্তানীতে বাংলাদেশ যেদিন সারা বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে, সেদিন দিন আর বেশী দুরে নয় । ‘গামেন্টস শিল্পে বর্তমানে ৪৯ টি ইউনিয়ন হয়েছে, যা অবিশ্বাস্য সাফল্য’ মন্তব্য করেন ড্যান মজিনা। রানা প্লাজা ও তাসনিম ফ্যাশনের ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনে জামাতে ইসলামীর অংশগ্রহন সম্পর্কে প্রবাসীদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে ড্যান মজিনা বলেন, জামাতে ইসলামি বাংলাদেশ্রে একটি রাজনৈতিক দল। তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। আশাকরি তারাও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করবে।
নৈশ ভোজের প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে কিনা এ প্রশ্নের উত্তরে ড্যান মজিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়টি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া স্টেট ডিপার্টমেন্টের রিপোর্টে এ বিষয়ে উদ্বেগের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment