শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আপনাদের ভোটে আমি এমপি হয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের সম্মান দেখিয়ে আমাকে মন্ত্রী করেছিলেন। আমি মন্ত্রী হয়ে আপনাদের মান সম্মান অনুজ্জ্বল করিনি। আমি দেশের যেখানে যাই না কেন লোকজন আমাকে দেখিয়ে বলে মন্ত্রী, গোলাপগঞ্জ বিয়ানীবাজারের সন্তান। আমি তৃপ্ত হয়ে যাই মানুষ যখন আমার এলাকার নাম গর্ব সহকারে স্মরন করে । আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে ভোট দেওয়ায় মন্ত্রী হতে পেরেছি। সেজন্য শুধু এলাকার নয় আজ সারা দেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে কাজ করতে পেরেছি। বিশেষ করে সিলেট আজ শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে। সেই ধারা অব্যাহত হতে রাখতে পুনরায় নৌকা প্রতীকে ভোট চাই। শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে নয় সার্বিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য আবার এই আওয়ামীলীগকে নির্বাচিত করুন। আমি মনে করি, সারা দেশে উন্নয়নের পাশাপাশি সিলেটেও উন্নয়নের বিপ্লব ঘটবে। এছাড়া আগামী নির্বাচনে যদি আপনারা আমাদের নির্বাচিত করেন তাহলে সিলেটকে ‘শিক্ষা নগরী’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমি কাজ করে যাব। প্রবাসীদের এই সিলেট যদি শিক্ষাক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হয় তা হলে এই অঞ্চলের মানুষের ইতিহাস ঐতিহ্য বাড়বে। দেশ-বিদেশে সিলেটের অবস্থান হবে সুসংহত।
তিনি মঙ্গলবার গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের প্রায় ৪কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী গতকাল দিনভর গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের শাহজালাল আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন, কতোয়ালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কতোয়ালপুর-নিমাদল-মোকামবাজার -লক্ষিপাশা ইউনিয়নের রাস্তার মেরামত কাজের উদ্বোধন, বাটুলগঞ্জ-নিমাদল- মোকামবাজার-রাখালগঞ্জ রাস্তার মেরামত কাজের ভিত্তিপ্রস্তর, নুরানিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের উদ্বোধন, দক্ষিণভাগ-নিমাসন-পলিতাপর সড়ক উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন, বাউসীপাতন-পুস্তরা গ্রামের বিদ্যুতায়নের শুভ উদ্বোধন, ঘোষগাঁও-দেওয়ান সড়ক উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ঘোষগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
অপরদিকে, শাহজালাল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্টিত সুধি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বদরুল ইসলাম সুয়েব। অন্যান্য সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামীলীগ নেতা গৌছ মিয়া ও মানিক মিয়া।
অনুষ্ঠানগুলোতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল জব্বার চৌধুরী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বদরুল ইসলাম সুয়েব, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, গোলপগঞ্জ আওয়ামীলীগ নেতা আলী আকবর ফখর, লক্ষিপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ আহমদ, সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন সাবেক ছাত্রনেতা মঈনুল ইসলাম ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা এমরান আহমদ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগ নেতা জহির উদ্দিন, মস্তাক আহমদ, এনামূল হক রুহেল, সাবেক ছাত্রনেতা জাফরান জামিল, এমদাদ রহমান, আবু সুফিয়ান আজম, ছাত্রনেতা রুমেল সিরাজ, মনসুর আহমদ, কামরান আহমদ, দেলোয়ার হোসেন দিপন, হোসেন আহমদ, ফাহিম আহমদ, জয়নুল ইসলাম, মুবিনুজ্জামান, আব্দুস সোবহান, আসাদুজ্জামান, রাজু, জামিল, তানিম আহমদ, যুবলীগ নেতা শাহজান আহমদ, সালাম আহমদ, ছাত্রনেতা পলাশ দত্ত, লিটু দাশ, তাপশ দাশ, বিশ্ব জ্যোতি দাশ, শুভ্রত দাশ, টিপু দাশ, রাহুল দাশ প্রমুখ। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী ঢাকা থেকে সিলেট পৌছে ওসমানী হাসপাতালে ছাত্রশিবিরের হামলায় গুরুতর আহত গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম পিনুকে দেখতে যান। এসময় তার সাথে ছিলেন আওয়ামীলীগের কেন্ত্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খানসহ নেতৃবৃন্দ।
No comments:
Post a Comment