বার কাউন্সিলের সহসভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সংবিধান অনুসারে মন্ত্রীরা যে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, সেই মুহূর্ত থেকে তা কার্যকর হয়ে গেছে। এরপর মন্ত্রীরা যা করবেন তা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমতুল্য হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পেশাজীবীদের উদ্যোগে গণমাধ্যম দমন ও বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবিধান থেকে এক চুলও নড়ব না- প্রধানমন্ত্রীর সা¤প্রতিক এ বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আমি বলি প্রধানমন্ত্রী সংবিধান থেকে এক চুলও মানবেন না। আসলে তিনি চমক দেখাবেন। এ কারণে সংবিধানবহির্ভূত সর্বদলীয় সরকারের নামে একদলীয় নির্বাচন করতে বসে আছেন।’
প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না শান্তি চাই- আলেমদের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই বক্তব্যের সমালোচনা করেন খন্দকার মাহবুব। তিনি বলেন, ‘আমরা লজ্জিত হই, মুসলমান হয়ে আলেমদের সামনে কান্নার ভাব করে তিনি মিথ্যা কথা বলেছেন। আসলে তাঁর মনে এক, চোখের ও মুখের ভাষা আরেক।’ খন্দকার মাহবুব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর লজ্জা হয় না সরকারি সব সুযোগসুবিধা নিয়ে নৌকায় ভোট চান। সঙ্গে এনেছেন ছেলেকে। কেন এই নাবালক শিশুটিকে রাজনীতিতে আনলেন। সুন্দর শিক্ষিত ছেলেকে নিজের অশুভ চিন্তার রাজনীতির সঙ্গী করলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন চমক দেখাবেন। আর মানুষ তাঁর প্রতারণামূলক বক্তব্যে ভোট দেবেন। সব প্রতারণা ধুলিসাত্ হয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য তিনি করে বলেন, দেশে গণবিস্ফোরণের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাঁচতে চাইলে নিদর্লীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএফইউজের সভাপতি বিরোধী দলের রুহুল আমিন গাজী লিখিত বক্তব্য পড়েন। তাতে আমার দেশ পত্রিকা, দিগন্ত ও ইসলামী টেলিভিশন বন্ধ করা, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দিনের বাসায় পুলিশের তলাশি, নিউ এইজের সম্পাদক নুরুল কবিরের মেয়েকে অপহরনের হুমকি, অধ্যাপক পিয়াস করিমের বাসায় বোমা হামলার নিন্দা জানানো হয়।
No comments:
Post a Comment