সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় আব্দুল মানিক নামের এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদন্ডের দিয়েছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কাজী আবদুল হান্নান এ দন্ডাদেশ দেন ।
আব্দুল মানিক সুনামগঞ্জে ছাতক উপজেলার জাউয়া বাজার ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মৃত ইয়াজ উলার ছেলে। আসামী আব্দুল মানিক পলাতক থাকায় আদালত তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হরিপুর গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর আব্দুল মানিকের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত ইয়াজ উলার ছেলে আব্দুল মনিক ও রোয়াজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মতিনসহ আসামীদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গ্রামের মৃত ইয়াজ উল্লার ছেলে আব্দুল মনিক ১৯৯৫ সালের ২১ জুন সকালে একই গ্রামের মৃত আপ্তাব আলীর আব্দুল মানিকের স্ত্রী সালেকা খাতুনকে শ্বাসরোধ করে ছালেকা খাতুনের বসত ঘরে গলাটিপে হত্যা করে ফেলে যায়।
এ ঘটনায় সালেকা বেগমের স্বামী অপমৃত্যু ভেবে ছাতক থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে ময়না তদন্ত ও পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে ছাতক থানার এমআই হিমাংশু কুমার দাস বাদী হয়ে ছাতক থানায় ১৯৯৬ সালের ১৯ জুলাই হরিপুর গ্রামের মৃত ইয়াজ উল্লার ছেলে আব্দুল মানিক, একই গ্রামের নছিব উলার ছেলে, আব্দুল গণি, রোয়াজ উল্লার ছেলে আব্দুল মতিন, আব্দুর রশিদ, তোয়াজ উল্লার ছেলেমো. সামসু মিয়া এবং সাদারাই গ্রামের মাহমদ আলীর ছেলে নূরুজ আলী বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামরা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে আসামী আব্দুল মানিকে বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে।
স্বাক্ষী প্রমাণ শেষে আদালত আসামি আব্দুল মানিককে দন্ড বিধির ৩০২ ধারায়-যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।
আসামী মো. সামসু মিয়া মামলা চলাকালিন সময়ে মৃত্যুবরণ করেন।
আসামী আব্দুল গণি, আব্দুল মতিন, আব্দুর রশিদ, নূরুজ আলী কে স্বাক্ষ্য প্রমানে দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় বেখসুর খালাস প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অরিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট নান্টু রায় এবং আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট আপ্তাব উদ্দিন, রুহুল আমিন এবং পলাতক আসামীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট এমএ আশরাফ ।
No comments:
Post a Comment