আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেটে শনিবার গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নগরীর আম্বরখানা এলাকায় গত শনিবার বিকেলে এই গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত ছিল ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা। একাধিক সূত্র এ ভাংচুরের সাথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সংশিৱষ্টতার কথা নিশ্চিত করলেও রহস্যজনক কারণে মামলায় আসামী করা হয়েছে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে। অথচ, গাড়ী ভাংচুরের ঘটনার পর ছাত্রদলেরই একটি অংশ ঘটনার সাথে জড়িত অপর অংশের কয়েক জন কর্মীকে মারধর করে। এ সংবাদ আজ সিলেটের বিভিন্ন স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিতও হয়। কিন্তু পুলিশ বলছে, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য ও ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে তারা এ মামলার আসামী চিহ্নিত করেছেন।
এদিকে, জামায়াত শিবিরের ৩ নেতাকে গ্রেফতার করে গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- জামায়াতে ইসলামীর সিলেট জেলা দক্ষিণের কার্যনির্বাহী সদস্য নুরুল হক মাস্টার, সিলেট আইন মহাবিদ্যালয় শিবিরের সদস্য জাকারিয়া আহমদ ও সিলেট মহানগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড শিবিরের সেক্রেটারি সাকের আহমদ চৌধুরী। এদেরকে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। তাদেরকে কোতয়ালী থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে দায়ের করা গাড়ী ভাংচুরের মামলায় আসামী দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, ১৮ দলের ডাকা ৮৪ ঘন্টার হরতালের আগের দিন শনিবার বিকেলে নগরীর আম্বরখানা ও মীরবক্স টুলা এলাকায় প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ী ভাংচুর করে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় জামায়াত শিবিরের ১০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করে কোতয়ালী থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অথচ, জামায়াতের একাধিক সূত্র দাবী করেছে, ঐ দিন গাড়ী ভাংচুরের সাথে তাদের কোন নেতাকর্মী জড়িত ছিলনা। তারা জানায়, বিএনপি নেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা ঐ দিন বিকেলে নগরীতে বিৰোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি আম্বরখানায় গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিল শেষে ফেরার পথে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আম্বরখানা থেকে চৌহাট্টা পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ী ভাংচুর করে। ভাংচুর-কারীরা যখন চৌহাট্টায় আসে তখন সেখানে বিএনপি‘র একটি সমাবেশ চলছিল। ভাংচুরের ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় ও লোকজনের ছুটাছুটির কারণে ঐ সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়। এক পর্যায়ে ভাংচুরে লিপ্ত ছাত্রদল কর্মীদের কয়েক জনকে ধাওয়া করে ছাত্রদলের অপর গ্রুপ। এ সময় ভাংচুরে লিপ্তদের কয়েক জন প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে প্রহৃত হন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. আয়ূব জানান, হামলার ঘটনার ভিডিও দেখে আটককৃতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তিনি জানান, মামলায় শুধু জামায়াত শিবির নয়, বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক ব্যক্তিকেও আসামী করা হয়েছে।
গাড়ী ভাংচুর ছাত্রদলের, মামলার আসামী জামায়াত-শিবির : গ্রেফতার ৩
Sunday, November 10, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment